ওমিক্রনের মধ্যে যথাসম্ভব স্কুল বন্ধ ঠেকাতে হবে, বলছে ইউনিসেফ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 125
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ। এ ধরনটিকে শুরু থেকেই উচ্চ সংক্রমণশীল বলে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

এ পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নতুন এক বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেছেন, ওমিক্রনের কারণে কোভিড-১৯ এর বিস্তারের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুল বন্ধ যথাসম্ভব ঠেকাতে হবে।

হেনরিটা ফোর বলেন, ‘যখন সামাজিকভাবে কোভিড-১৯ এর বিস্তার বাড়বে এবং কঠোর স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠবে, তখন স্কুল বন্ধের বিষয়টিকে সব শেষে এবং পুনঃরায় খোলাটাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টিকে বিবেচনা করছে।

হেনরিটা ফোর বলেন, একটি বিষয় নিশ্চিত: ‘ব্যাপকভাবে স্কুল বন্ধ রাখার আরেকটি ঢেউ শিশুদের জন্য হবে বিপর্যয়কর।’

তিনি জানান, দীর্ঘ ও দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ রাখার কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও তাদের বাবা-মায়ের ক্ষেত্র অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে। দূর থেকে পাঠপঠনের সুবিধা সীমিত থাকার প্রভাব হবে গুরুতর।

ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘(এ বন্ধ রাখার কারণে) শিক্ষার কয়েক দশকের অগ্রগতিকে স্থিমিত করে দেবে; শিক্ষার্থীদের শৈশবকে করবে অপরিচিত। এর স্থান দখল করবে শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে ও মানসিক (খারাপ) স্বাস্থ্যের মতো ছায়া মহামারি।’

এর আগে ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বলেছিল। তারা সতর্ক করে বলেছিল, করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় স্কুল বন্ধ রাখার ফল কয়েক দশক ধরে ভুগতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ওমিক্রনের মধ্যে যথাসম্ভব স্কুল বন্ধ ঠেকাতে হবে, বলছে ইউনিসেফ

আপডেট : ১২:৪৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ। এ ধরনটিকে শুরু থেকেই উচ্চ সংক্রমণশীল বলে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

এ পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের বিস্তারের মধ্যে নতুন এক বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ।

সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফোর বলেছেন, ওমিক্রনের কারণে কোভিড-১৯ এর বিস্তারের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কুল বন্ধ যথাসম্ভব ঠেকাতে হবে।

হেনরিটা ফোর বলেন, ‘যখন সামাজিকভাবে কোভিড-১৯ এর বিস্তার বাড়বে এবং কঠোর স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠবে, তখন স্কুল বন্ধের বিষয়টিকে সব শেষে এবং পুনঃরায় খোলাটাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশ বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টিকে বিবেচনা করছে।

হেনরিটা ফোর বলেন, একটি বিষয় নিশ্চিত: ‘ব্যাপকভাবে স্কুল বন্ধ রাখার আরেকটি ঢেউ শিশুদের জন্য হবে বিপর্যয়কর।’

তিনি জানান, দীর্ঘ ও দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ রাখার কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও তাদের বাবা-মায়ের ক্ষেত্র অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে। দূর থেকে পাঠপঠনের সুবিধা সীমিত থাকার প্রভাব হবে গুরুতর।

ইউনিসেফের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘(এ বন্ধ রাখার কারণে) শিক্ষার কয়েক দশকের অগ্রগতিকে স্থিমিত করে দেবে; শিক্ষার্থীদের শৈশবকে করবে অপরিচিত। এর স্থান দখল করবে শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে ও মানসিক (খারাপ) স্বাস্থ্যের মতো ছায়া মহামারি।’

এর আগে ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার সব স্কুল খুলে দিতে বলেছিল। তারা সতর্ক করে বলেছিল, করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় স্কুল বন্ধ রাখার ফল কয়েক দশক ধরে ভুগতে হবে।