স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 141
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকার সন্দেহে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে নোয়াখালী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, আবদুল জলিল পেশায় মুড়ি ও চানাচুর বিক্রেতা। তিনি থাকেন নোয়াখালীতে। তার স্ত্রী এক ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। জলিলের স্ত্রী যে বাসায় ভাড়া থাকেন তার পাশের এক বাসায় থাকেন পোশাক কারখানার সিকিউরিটি সুপারভাইজার আবু তাহের।

গত বুধবার আবদুল জলিল স্ত্রীর বাসায় যান। এরপর সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তার স্ত্রী। তারা কোথায় আছে তা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ জানায়নি। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় জলিলের। পরদিন আরও কয়েকজনকে নিয়ে আবু তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বের করেন তিনি। জলিলের অভিযোগ, তার স্ত্রী ও সন্তানকে আবু তাহের লুকিয়ে রেখেছেন। তাহের কিছু জানেন না বললে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, তাহেরকে কিলঘুষি মারতে থাকেন জলিল ও তার সহযোগীরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তাহের মারা যান।

এ ঘটনায় আবু তাহেরের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী থেকে আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা

আপডেট : ১২:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক থাকার সন্দেহে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে আবদুল জলিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে নোয়াখালী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, আবদুল জলিল পেশায় মুড়ি ও চানাচুর বিক্রেতা। তিনি থাকেন নোয়াখালীতে। তার স্ত্রী এক ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। জলিলের স্ত্রী যে বাসায় ভাড়া থাকেন তার পাশের এক বাসায় থাকেন পোশাক কারখানার সিকিউরিটি সুপারভাইজার আবু তাহের।

গত বুধবার আবদুল জলিল স্ত্রীর বাসায় যান। এরপর সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তার স্ত্রী। তারা কোথায় আছে তা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ জানায়নি। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় জলিলের। পরদিন আরও কয়েকজনকে নিয়ে আবু তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বের করেন তিনি। জলিলের অভিযোগ, তার স্ত্রী ও সন্তানকে আবু তাহের লুকিয়ে রেখেছেন। তাহের কিছু জানেন না বললে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, তাহেরকে কিলঘুষি মারতে থাকেন জলিল ও তার সহযোগীরা। পরে আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে তাহের মারা যান।

এ ঘটনায় আবু তাহেরের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী থেকে আবদুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।