প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বলছে আইএমএফ
- আপডেট : ১১:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / 128
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে বিজ্ঞপ্তিটি আইএমএফ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ-এর কর্মকর্তা রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে একটি দল ঢাকা সফর করে। গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সফরের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড সংক্রমণ কমে আসায় এবং সরকারের অনুকূল নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকায় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যদ্বানী করা হয়, খাদ্যপণ্য নয়- এমন জিনিসপত্র ও সাম্প্রতিক সময়ে তেলের মূল্য বৃদ্ধির জেরে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে মুদ্রাস্ফিতি কিছুটা বেশি হতে পারে।
এতে বলা হয়, মহামারির কারণে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপিতে আর্থিক ঘাটতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছে। তবে বিশ্ব ব্যাংকের হিসাবে এবার বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে পারে।
এ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। তবে গত অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, যা গত কয়েক মাস ধরেই বাড়ছে।
অর্থনীতি যাতে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে, এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত হবে মূল্যস্ফীতির দিকে নজর রাখা; প্রয়োজনে বাজারে মুদ্রাপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
করোনা মহামারীর মধ্যে গত দুই বছরে সরকারের দেনা বেড়ে গেলেও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি এবং দেশে টিকাদান পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ঋণের বোঝা নিয়ে আইএমএফ দীর্ঘমেয়াদে খুব বেশি ঝুঁকি দেখছে না।