কেরালায় মেয়েদের স্কুলড্রেস নিয়ে আপত্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 122
ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি স্কুলে ছেলে-মেয়েদের একই পোশাক চালু করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। জেলার এক সরকারি স্কুল একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্য একইরকম পোশাক পা ঢাকা নীল প্যান্ট এবং ফুলহাতা নীল স্ট্রাইপ শার্ট পরার বিধি চালু করেছে। তবে প্রয়োজনে এই পোশাকের সঙ্গে স্কার্ফ পরেও আসতে পারবেন ছাত্রীরা।

সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের কমিটির সদস্য মুজাহিদ বালুসারি বলেছেন, ‘পিটিএর সাধারণ সভা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।মেয়েদের ওপর নাস্তিকতার মতাদর্শ চাপিয়ে দেয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন মেয়েরা বাধ্য হবে ছেলেদের মতো পোশাক পরতে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে আপস করতে পারি না। ছেলে ও মেয়েদের স্বতন্ত্র পরিচয় রাখতে হবে। এছাড়া মেয়েদেরকে ছেলেদের মতো পোশাক পরার অনুমতি দিলে তারা অবাধ যৌনতায় প্রবেশ করতে পারে। ’

এদিকে স্কুলের প্রিন্সিপাল ইন্দু আর দাবি করেছেন, তারা স্কুলের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে স্টাফদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। অভিভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে অধিকাংশই একমত।

ইন্দু আরও বলেন, ‘মাত্র এক বা দুজন অভিভাবক সমলৈঙ্গিক পোশাকের জন্য তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আমরা তাদের জানিয়েছি, যদি মেয়েরা চায় ফুলহাতা শার্ট, হিজাব এমনকি ওয়েস্টকোটও পরতে পারবে। তাছাড়া, যেখানে কেরালার অনেক বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরা আগে থেকেই ট্রাউজার পরে সেখানে তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করাটা বিস্ময়কর।’

সমলৈঙ্গিক পোশাকের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক আর বিন্দু বলেন, ‘বৈষম্য দূর করে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে এই সিদ্ধান্ত। লিঙ্গবৈষম্য দূর করে মানবসমাজের প্রত্যেকের একই দিকে হাঁটা উচিত। এই বার্তা পৌঁছে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত।কিন্তু সমাজে রক্ষণশীল কিছু গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেরালায় মেয়েদের স্কুলড্রেস নিয়ে আপত্তি

আপডেট : ০১:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি স্কুলে ছেলে-মেয়েদের একই পোশাক চালু করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। জেলার এক সরকারি স্কুল একাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের জন্য একইরকম পোশাক পা ঢাকা নীল প্যান্ট এবং ফুলহাতা নীল স্ট্রাইপ শার্ট পরার বিধি চালু করেছে। তবে প্রয়োজনে এই পোশাকের সঙ্গে স্কার্ফ পরেও আসতে পারবেন ছাত্রীরা।

সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের কমিটির সদস্য মুজাহিদ বালুসারি বলেছেন, ‘পিটিএর সাধারণ সভা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।মেয়েদের ওপর নাস্তিকতার মতাদর্শ চাপিয়ে দেয়ার এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এখন মেয়েরা বাধ্য হবে ছেলেদের মতো পোশাক পরতে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের বিশ্বাসের সঙ্গে আপস করতে পারি না। ছেলে ও মেয়েদের স্বতন্ত্র পরিচয় রাখতে হবে। এছাড়া মেয়েদেরকে ছেলেদের মতো পোশাক পরার অনুমতি দিলে তারা অবাধ যৌনতায় প্রবেশ করতে পারে। ’

এদিকে স্কুলের প্রিন্সিপাল ইন্দু আর দাবি করেছেন, তারা স্কুলের পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে স্টাফদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। অভিভাবকদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে অধিকাংশই একমত।

ইন্দু আরও বলেন, ‘মাত্র এক বা দুজন অভিভাবক সমলৈঙ্গিক পোশাকের জন্য তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। আমরা তাদের জানিয়েছি, যদি মেয়েরা চায় ফুলহাতা শার্ট, হিজাব এমনকি ওয়েস্টকোটও পরতে পারবে। তাছাড়া, যেখানে কেরালার অনেক বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরা আগে থেকেই ট্রাউজার পরে সেখানে তার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করাটা বিস্ময়কর।’

সমলৈঙ্গিক পোশাকের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক আর বিন্দু বলেন, ‘বৈষম্য দূর করে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে এই সিদ্ধান্ত। লিঙ্গবৈষম্য দূর করে মানবসমাজের প্রত্যেকের একই দিকে হাঁটা উচিত। এই বার্তা পৌঁছে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত।কিন্তু সমাজে রক্ষণশীল কিছু গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে।’