পশ্চিমবঙ্গে একই স্কুলে ২৯ শিক্ষার্থীর করোনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 140
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়ার কল্যাণীতে একই স্কুলের ২৯ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নদিয়ার কল্যাণী জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

স্কুল সূত্রের খবর, গত ৭ ডিসেম্বর অভিভাবক-শিক্ষকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর দু’দিন আগে দুই শিক্ষার্থীর হালকা জ্বর এবং সর্দি-কাশির উপসর্গ ধরা পড়ে।

তাদের সঙ্গে সঙ্গে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে। এর পরই আর ঝুঁকি নিতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলে। এর পরই স্কুলের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়ে স্কুল চত্বরেই আরটিপিসিআর ক্যাম্প বসানো হয়।

প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ বলেন, ‘যেহেতু ওই দু’জনের সংস্পর্শে আরও অনেকেই এসেছিল, সেহেতু বাকি শিক্ষার্থী. স্কুলের শিক্ষিকা এবং কর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। মোট ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দফায় ২১৫ জনের পরীক্ষা করানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় তাদের মধ্যে ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত। তাদের মধ্যে তিন জনের হালকা সর্দি-কাশির লক্ষণ ধরা পড়েছে। বাকিরা সবাই উপসর্গহীন।’

প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর নমুনা নেয়া বাকি ছিল, তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে আরও কেউ কোভিডে আক্রান্ত কি না।’

একসঙ্গে এতো শিক্ষার্থীর কোভিড সংক্রমণে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। এ অবস্থায় কি স্কুল খোলা রাখা হবে?

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘স্কুল খোলা রাখব আমরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাব। জেলা প্রশাসনকেও রিপোর্ট দেব। তারা যা নির্দেশ দেবে, সেটাই পালন করব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পশ্চিমবঙ্গে একই স্কুলে ২৯ শিক্ষার্থীর করোনা

আপডেট : ১০:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়ার কল্যাণীতে একই স্কুলের ২৯ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। নদিয়ার কল্যাণী জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ঘটনা। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

স্কুল সূত্রের খবর, গত ৭ ডিসেম্বর অভিভাবক-শিক্ষকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকের পর দু’দিন আগে দুই শিক্ষার্থীর হালকা জ্বর এবং সর্দি-কাশির উপসর্গ ধরা পড়ে।

তাদের সঙ্গে সঙ্গে জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজে কোভিড পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে কোভিড পজিটিভ আসে। এর পরই আর ঝুঁকি নিতে চাননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলে। এর পরই স্কুলের তরফে স্বাস্থ্য দপ্তরকে বিষয়টি জানিয়ে স্কুল চত্বরেই আরটিপিসিআর ক্যাম্প বসানো হয়।

প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী নাগ বলেন, ‘যেহেতু ওই দু’জনের সংস্পর্শে আরও অনেকেই এসেছিল, সেহেতু বাকি শিক্ষার্থী. স্কুলের শিক্ষিকা এবং কর্মীদেরও কোভিড পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিই আমরা। মোট ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দফায় ২১৫ জনের পরীক্ষা করানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘বুধবার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায় তাদের মধ্যে ২৭ জন কোভিড আক্রান্ত। তাদের মধ্যে তিন জনের হালকা সর্দি-কাশির লক্ষণ ধরা পড়েছে। বাকিরা সবাই উপসর্গহীন।’

প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীর নমুনা নেয়া বাকি ছিল, তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে আরও কেউ কোভিডে আক্রান্ত কি না।’

একসঙ্গে এতো শিক্ষার্থীর কোভিড সংক্রমণে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে। এ অবস্থায় কি স্কুল খোলা রাখা হবে?

এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘স্কুল খোলা রাখব আমরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাব। জেলা প্রশাসনকেও রিপোর্ট দেব। তারা যা নির্দেশ দেবে, সেটাই পালন করব।’