ভুয়া সংবাদ প্রচার নিয়ে মামলা করছেন ম্যাক্রোঁর স্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 134
ভুয়া সংবাদ প্রচার নিয়ে চরম ক্ষেপেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট। এ নিয়ে তিনি মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি গুজব বের হয় যে, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট ট্রেন্সজেন্ডার (রূপান্তরিত); অর্থাৎ তিনি জন্ম নিয়েছিলেন পুরুষ হিসেবে, পরে রূপান্তরিত হয়ে নারীতে পরিণত হয়েছেন।

গত মার্চে এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ গুজব ছড়ায়। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি এ গুজব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ব্রিজিটকে নিয়ে দক্ষিণপন্থী একটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘ব্রিজিট ম্যাক্রোঁকে নিয়ে রহস্য’ শিরোনামে।

এক পর্যায়ে গসিপ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, দাবি করা হয়- ব্রিজিটের ট্রেন্সজেন্ডার এবং জন্মের পর তার নাম ছিল জ্যঁ-মাইকেল ট্রগনুক্স। পরে এ নামের সঙ্গে হ্যাশট্যাগও চালু হয়।

এ নিয়ে চরম ক্ষেপেছেন ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ। তাই আইনজীবী জ্যঁ এনোচি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ৬৮ বছরের ব্রিজিটের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় তার একটি মামলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মামলা করার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন এবং এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ব্রিজিটের সঙ্গে প্রথম যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সাক্ষাৎ হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৫; আর ব্রিজিটের ছিল ৪০ বছর। ম্যাক্রোঁর নাটক ক্লাসের শিক্ষিকা ছিলেন ব্রিজিট; পরে তাদের বিয়ে ও সংসার হয়।

ম্যাক্রোঁ ব্রিজিটের দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন তিনি এক ব্যাংকারকে বিয়ে করেন। ওই বিয়েতে তিনি তিন সন্তানের মা হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি ম্যাক্রোঁকে বিয়ে করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভুয়া সংবাদ প্রচার নিয়ে মামলা করছেন ম্যাক্রোঁর স্ত্রী

আপডেট : ১০:৫৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভুয়া সংবাদ প্রচার নিয়ে চরম ক্ষেপেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট। এ নিয়ে তিনি মামলা করার পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি গুজব বের হয় যে, ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিট ট্রেন্সজেন্ডার (রূপান্তরিত); অর্থাৎ তিনি জন্ম নিয়েছিলেন পুরুষ হিসেবে, পরে রূপান্তরিত হয়ে নারীতে পরিণত হয়েছেন।

গত মার্চে এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এ গুজব ছড়ায়। গত অক্টোবরের মাঝামাঝি এ গুজব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ব্রিজিটকে নিয়ে দক্ষিণপন্থী একটি গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘ব্রিজিট ম্যাক্রোঁকে নিয়ে রহস্য’ শিরোনামে।

এক পর্যায়ে গসিপ এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, দাবি করা হয়- ব্রিজিটের ট্রেন্সজেন্ডার এবং জন্মের পর তার নাম ছিল জ্যঁ-মাইকেল ট্রগনুক্স। পরে এ নামের সঙ্গে হ্যাশট্যাগও চালু হয়।

এ নিয়ে চরম ক্ষেপেছেন ব্রিজিট ম্যাক্রোঁ। তাই আইনজীবী জ্যঁ এনোচি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ৬৮ বছরের ব্রিজিটের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায় তার একটি মামলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মামলা করার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন এবং এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ব্রিজিটের সঙ্গে প্রথম যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সাক্ষাৎ হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৫; আর ব্রিজিটের ছিল ৪০ বছর। ম্যাক্রোঁর নাটক ক্লাসের শিক্ষিকা ছিলেন ব্রিজিট; পরে তাদের বিয়ে ও সংসার হয়।

ম্যাক্রোঁ ব্রিজিটের দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন তিনি এক ব্যাংকারকে বিয়ে করেন। ওই বিয়েতে তিনি তিন সন্তানের মা হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি ম্যাক্রোঁকে বিয়ে করেন।