ইসরায়েলকে সতর্ক করতেই উপসাগরে যুদ্ধ মহড়া
- আপডেট : ০১:১১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
- / 126
ইরানের পারমাণবিক স্থানলক্ষ্য করে সম্ভাব্য ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে শুক্রবার দেশটির শীর্ষ সামরিক কমান্ডার এ কথা বলেন। উপসাগরে এ যুদ্ধ মহড়ায় রেভ্যুলেশনারি গার্ড নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুশীলন করে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দেখায়, শুক্রবার মহড়ার শেষদিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লির মত দেখতে একটি লক্ষ্যবস্তুকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে সালামি বলেন , ‘এই মহড়ায় খুবই স্পষ্ট বার্তা ছিল; জায়নবাদী শাসকদেরকে তাদের ভুলের ব্যাপারে গুরুতর, সত্যিকারের হুঁশিয়ারি। তারা ভুল কোনো পদক্ষেপ নিলে আমরা তাদের হাত কেটে নেবো। সত্যিকারের অভিযান ও সামরিক মহড়ার মধ্যে দূরত্ব কেবল ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের কোণ বদলে দেওয়া।’
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি জানান, তাদের ‘গ্রেট প্রোফেট ১৭’ নামের মহড়ায় একইসময়ে আলাদা আলাদা শ্রেণির ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যা আগে থেকে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুকে গুড়িয়ে দেয়।
এদিকে মহড়ায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেছে তারা।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খতিবজাদে যুক্তরাজ্যের এই বিবৃতিকে ‘ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় হস্তক্ষেপ’বলে অভিহিত করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিই সবচেয়ে বড়। তেহরান এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের মোকাবেলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার মনে করে।
কূটনীতি ব্যর্থ হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ইসরায়েলের এমন হুমকিও দীর্ঘদিনের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তাদেরই পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে মনে করা হয়।