ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের পথে কে এই সাঁওতাল নারী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:৩১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / 121
ভারতের শাসক দল বিজেপি দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিল ঝাড়খন্ডের সাবেক রাজ্যপাল আদিবাসী দ্রৌপদী মুর্মুকে। এনডিএ জোটের সমর্থন ভাগাভাগি না হলে এবং জোটহীন দলের বাড়তি সমর্থন পেলে দ্রৌপদীই হবেন ভারতের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি। এর আগে কংগ্রেস আমলে দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন প্রতিভা পাতিল। দ্রৌপদী দ্বিতীয় নারী হলেও জিতলে তিনিই হবেন প্রথম রাষ্ট্রপতি, যিনি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত।

মঙ্গলবার রাতে এনডিএ জোটের পক্ষে দ্রৌপদীর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইটা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিমুখী। বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে আগেই ঘোষিত হয়েছিল সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার নাম। রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মঙ্গলবারেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। বিহারের এই রাজনীতিকের মোকাবিলা এবার হবে দ্রৌপদীর সঙ্গে।

সাবেক শিক্ষক ৬৪ বছর বয়সের দ্রৌপদী ওড়িশার মেয়ে। গত কয়েক দশক ধরে তিনি বিজেপি’র জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রাদেশিক গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

যদি দ্রৌপদী নির্বাচিত হন, তবে তিনি হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী যিনি দেশটির সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হবেন। ভারতে প্রেসিডেন্ট পদটি অনেকটা অলঙ্কারিক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ হলেও দেশ পরিচালনায় প্রেসিডেন্টের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।

দ্রৌপদীর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২০ জুন, ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বৈদাপোসি গ্রামে। সাঁওতাল পরিবারের এই কন্যার জীবন কখনো সেই অর্থে মসৃণ ছিল না। অভাবের সঙ্গে লড়াই ছিল এই পরিবারের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু তবু লেখাপড়া ছাড়েননি তিনি। স্নাতক হওয়ার পর ওডিশার এক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান। দীর্ঘদিন বিনা ভাতায় শিক্ষকতা করার পর একটা সময় চাকরি ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। ময়ূরভঞ্জ জেলার রাইরঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। ক্রমেই বিজেপিতে তার উত্থান।

দলের তফসিল উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহসভাপতি পদ পান। বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হন। ২০০০ থেকে ২০০৪ সালে ওডিশায় বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে তিনি পরিবহন, বাণিজ্য, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন টানা ছয় বছরের জন্য।

দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে প্রথম গণমাধ্যমে হইচই হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার গুঞ্জন রটেছিল, বিজেপি তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার নাম বিবেচনা করছে। তিনি ওই সময় ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৫৮ সালের ২০ জুন ময়ুরভাঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করনে দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ভারতের সবথেকে প্রাচীন এবং বৃহৎ আদিবাসী গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মেয়ে।

একটি গ্রামের গ্রাম প্রধানের মেয়ে দ্রৌপদী রাজ্যের রাজধানী ভূবনেশ্বরের রামাদেবী উইমেন্স কলেজে লেখাপড়া করেছেন।

ওড়িশা রাজ্য সরকারের একজন কেরানি হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের কৃষি ও জ্বালানি অধিদপ্তরে একজন জুনিয়র এসিস্টেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন।

১৯৯৪-৯৭ সাল পর্যন্ত রাইরংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইনটেগরাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।

দ্রৌপদীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। সেবার তিনি রাইরংপুরে স্থানীয় নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

বিজেপির হয়ে রাইরংপুর আসন থেকে তিনি ২০০০ ও ২০০৯ সালে দুইবার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০০-২০০৪ সালে তিনি রাজ্যের জোট সরকারের একজন মন্ত্রীও ছিলেন।

প্রথমে বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করলেও পরে তিনি মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সামলান। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্য বিজেপির ‘পিছিয়ে পড়া আদিবাসী’ শাখার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিজেপির হাতে যথেষ্ট ভোট আছে। দ্রৌপদীর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার ‘বিশ্বাস আছে’ তিনি (দ্রৌপদী) একজন ‘অসাধারণ প্রেসিডেন্ট’ হবেন।

এদিকে দ্রৌপদী নিজে তার মনোনয়ন পাওয়ার খবর টেলিভিশন থেকে পান বলে বিবিসি-কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ খবর তাকে একইসঙ্গে ‘বিস্মিত’ এবং ‘আনন্দিত’ করেছে।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ময়ুরভাঞ্জ জেলার মত একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন আদিবাসী নারী হিসেবে আমি দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য একজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারব এমনটা আগে ভাবিনি।

ওড়িশার সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দ্রৌপদীর মনোনয়নকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা তাকে ‘মাটির মেয়ে’বলে বর্ণনা করেছে। দ্রৌপদী বলেন, ওড়িশার সব আইনপ্রণেতার সমর্থন তাকে ‘আশাবাদী’করে তুলেছে।

বিরোধী দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেই যশবন্ত সিনহাও একসময় বিজেপি নেতা ছিলেন। অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে তিনি বিজেপি সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনিই এখন বিজেপি এবং মোদির কট্টর এবং সক্রিয় সমালোচকদের একজন।

যশবন্ত অবশ্য বিরোধী দলের প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তারা প্রথমে শরদ পাওয়ার, ফারুক আব্দুল্লাহ এবং মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা সবাই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

আগামী ১৮ জুলাই ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে এবং ২১ জুলাই ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ২৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের মেয়াদ শেষ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের পথে কে এই সাঁওতাল নারী?

আপডেট : ০৫:৩১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
ভারতের শাসক দল বিজেপি দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নিল ঝাড়খন্ডের সাবেক রাজ্যপাল আদিবাসী দ্রৌপদী মুর্মুকে। এনডিএ জোটের সমর্থন ভাগাভাগি না হলে এবং জোটহীন দলের বাড়তি সমর্থন পেলে দ্রৌপদীই হবেন ভারতের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি। এর আগে কংগ্রেস আমলে দেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন প্রতিভা পাতিল। দ্রৌপদী দ্বিতীয় নারী হলেও জিতলে তিনিই হবেন প্রথম রাষ্ট্রপতি, যিনি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত।

মঙ্গলবার রাতে এনডিএ জোটের পক্ষে দ্রৌপদীর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদের লড়াইটা হয়ে দাঁড়ায় দ্বিমুখী। বিরোধীদের প্রার্থী হিসেবে আগেই ঘোষিত হয়েছিল সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহার নাম। রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মঙ্গলবারেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। বিহারের এই রাজনীতিকের মোকাবিলা এবার হবে দ্রৌপদীর সঙ্গে।

সাবেক শিক্ষক ৬৪ বছর বয়সের দ্রৌপদী ওড়িশার মেয়ে। গত কয়েক দশক ধরে তিনি বিজেপি’র জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি প্রাদেশিক গভর্নর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

যদি দ্রৌপদী নির্বাচিত হন, তবে তিনি হবেন ভারতের প্রথম আদিবাসী নারী যিনি দেশটির সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হবেন। ভারতে প্রেসিডেন্ট পদটি অনেকটা অলঙ্কারিক। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ হলেও দেশ পরিচালনায় প্রেসিডেন্টের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।

দ্রৌপদীর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২০ জুন, ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বৈদাপোসি গ্রামে। সাঁওতাল পরিবারের এই কন্যার জীবন কখনো সেই অর্থে মসৃণ ছিল না। অভাবের সঙ্গে লড়াই ছিল এই পরিবারের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু তবু লেখাপড়া ছাড়েননি তিনি। স্নাতক হওয়ার পর ওডিশার এক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান। দীর্ঘদিন বিনা ভাতায় শিক্ষকতা করার পর একটা সময় চাকরি ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। ময়ূরভঞ্জ জেলার রাইরঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। ক্রমেই বিজেপিতে তার উত্থান।

দলের তফসিল উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহসভাপতি পদ পান। বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হন। ২০০০ থেকে ২০০৪ সালে ওডিশায় বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে তিনি পরিবহন, বাণিজ্য, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন টানা ছয় বছরের জন্য।

দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে প্রথম গণমাধ্যমে হইচই হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেবার গুঞ্জন রটেছিল, বিজেপি তাদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তার নাম বিবেচনা করছে। তিনি ওই সময় ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

১৯৫৮ সালের ২০ জুন ময়ুরভাঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করনে দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ভারতের সবথেকে প্রাচীন এবং বৃহৎ আদিবাসী গোষ্ঠী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মেয়ে।

একটি গ্রামের গ্রাম প্রধানের মেয়ে দ্রৌপদী রাজ্যের রাজধানী ভূবনেশ্বরের রামাদেবী উইমেন্স কলেজে লেখাপড়া করেছেন।

ওড়িশা রাজ্য সরকারের একজন কেরানি হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যের কৃষি ও জ্বালানি অধিদপ্তরে একজন জুনিয়র এসিস্টেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন।

১৯৯৪-৯৭ সাল পর্যন্ত রাইরংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইনটেগরাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।

দ্রৌপদীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। সেবার তিনি রাইরংপুরে স্থানীয় নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

বিজেপির হয়ে রাইরংপুর আসন থেকে তিনি ২০০০ ও ২০০৯ সালে দুইবার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০০-২০০৪ সালে তিনি রাজ্যের জোট সরকারের একজন মন্ত্রীও ছিলেন।

প্রথমে বাণিজ্য ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করলেও পরে তিনি মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সামলান। ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্য বিজেপির ‘পিছিয়ে পড়া আদিবাসী’ শাখার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটে জেতাতে বিজেপির হাতে যথেষ্ট ভোট আছে। দ্রৌপদীর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তার ‘বিশ্বাস আছে’ তিনি (দ্রৌপদী) একজন ‘অসাধারণ প্রেসিডেন্ট’ হবেন।

এদিকে দ্রৌপদী নিজে তার মনোনয়ন পাওয়ার খবর টেলিভিশন থেকে পান বলে বিবিসি-কে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ খবর তাকে একইসঙ্গে ‘বিস্মিত’ এবং ‘আনন্দিত’ করেছে।

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ময়ুরভাঞ্জ জেলার মত একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন আদিবাসী নারী হিসেবে আমি দেশের সর্বোচ্চ পদের জন্য একজন প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারব এমনটা আগে ভাবিনি।

ওড়িশার সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দ্রৌপদীর মনোনয়নকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা তাকে ‘মাটির মেয়ে’বলে বর্ণনা করেছে। দ্রৌপদী বলেন, ওড়িশার সব আইনপ্রণেতার সমর্থন তাকে ‘আশাবাদী’করে তুলেছে।

বিরোধী দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেই যশবন্ত সিনহাও একসময় বিজেপি নেতা ছিলেন। অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে তিনি বিজেপি সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন। তবে তিনিই এখন বিজেপি এবং মোদির কট্টর এবং সক্রিয় সমালোচকদের একজন।

যশবন্ত অবশ্য বিরোধী দলের প্রথম পছন্দ ছিলেন না। তারা প্রথমে শরদ পাওয়ার, ফারুক আব্দুল্লাহ এবং মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধীকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা সবাই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

আগামী ১৮ জুলাই ভারতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে এবং ২১ জুলাই ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আগামী ২৪ জুলাই প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোভিন্দের মেয়াদ শেষ হবে।