ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তাপদাহ এবার চিনে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
  • / 122
চিনেও এবার তাপদাহের অশনিসংকেত। পাশ্চাত্যের পাশাপাশি পূর্বেও শুরু হয়ে গেল প্রাণঘাতী আগুনের তাপ। চিনে আগামী ১০ দিনে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

শনিবার দিনটিকে ‘অত্যন্ত গরম’ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে চিনে। শনিবার থেকেই চিনের তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত বাড়তে শুরু করবে এবং তা দাবানলে রূপও নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

চিনের কিছু কিছু প্রদেশে তাপমাত্রা বেড়ে কমপক্ষে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছনোর আভাস দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দাবানল দেখা দিতে পারে উল্লেখ করে জনগণকে সতর্ক করেছে চিন সরকার। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াং-এর কিছু শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হচ্ছে। চিনে রেড অ্যালার্ট হল সেদেশে আবহাওয়াসংক্রান্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা। জুলাইয়ে ঝেজিয়াং প্রদেশে তাপমাত্রা সাধারণত ২০-র ঘরে থাকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছনোর আভাস দেয়া হয়েছে।

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চিনের বিভিন্ন বাড়ি, অফিস ও কারখানায় এসি মেশিন বসানোর হিড়িক পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, গ্রীষ্মকাল জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা শৃঙ্গে পৌঁছবে।

জুলাইয়ে সাংহাইয়ের তাপমাত্রা ৪০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ১৮৭৩ সালে দেশটির তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাপমাত্রা এই উচ্চতায় পৌঁছল। এর আগে ২০১৭ সালে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সাংহাইয়ে গ্রীষ্মকালে তৃতীয়বারের মতো চরম গরমজনিত সতর্কতা জারি করতে হয়েছে।

মানুষের অবিমৃষ্যকারিতার জন্যই জলবায়ুর এই ভয়াবহ পরিবর্তন। যারে জেরে বিশ্ব জুড়ে ঘন ঘন তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিচ্ছে এবং এগুলি দীর্ঘস্থায়ী হতেও দেখা যাচ্ছে। শিল্পযুগ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ হয়েছে বিশ্ব। ফলে, বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে ভবিষ্যতে তাপমাত্রা লাগামছাড়া বাড়তে থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তাপদাহ এবার চিনে!

আপডেট : ০৭:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
চিনেও এবার তাপদাহের অশনিসংকেত। পাশ্চাত্যের পাশাপাশি পূর্বেও শুরু হয়ে গেল প্রাণঘাতী আগুনের তাপ। চিনে আগামী ১০ দিনে তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

শনিবার দিনটিকে ‘অত্যন্ত গরম’ দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে চিনে। শনিবার থেকেই চিনের তাপমাত্রার পারদ ক্রমাগত বাড়তে শুরু করবে এবং তা দাবানলে রূপও নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

চিনের কিছু কিছু প্রদেশে তাপমাত্রা বেড়ে কমপক্ষে ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছনোর আভাস দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় দাবানল দেখা দিতে পারে উল্লেখ করে জনগণকে সতর্ক করেছে চিন সরকার। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াং-এর কিছু শহরে রেড অ্যালার্ট জারি করা হচ্ছে। চিনে রেড অ্যালার্ট হল সেদেশে আবহাওয়াসংক্রান্ত সর্বোচ্চ সতর্কতা। জুলাইয়ে ঝেজিয়াং প্রদেশে তাপমাত্রা সাধারণত ২০-র ঘরে থাকে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছনোর আভাস দেয়া হয়েছে।

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে চিনের বিভিন্ন বাড়ি, অফিস ও কারখানায় এসি মেশিন বসানোর হিড়িক পড়ে গেছে। বিদ্যুৎ গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, গ্রীষ্মকাল জুড়ে বিদ্যুতের চাহিদা শৃঙ্গে পৌঁছবে।

জুলাইয়ে সাংহাইয়ের তাপমাত্রা ৪০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। ১৮৭৩ সালে দেশটির তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু করার পর থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাপমাত্রা এই উচ্চতায় পৌঁছল। এর আগে ২০১৭ সালে উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সাংহাইয়ে গ্রীষ্মকালে তৃতীয়বারের মতো চরম গরমজনিত সতর্কতা জারি করতে হয়েছে।

মানুষের অবিমৃষ্যকারিতার জন্যই জলবায়ুর এই ভয়াবহ পরিবর্তন। যারে জেরে বিশ্ব জুড়ে ঘন ঘন তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিচ্ছে এবং এগুলি দীর্ঘস্থায়ী হতেও দেখা যাচ্ছে। শিল্পযুগ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি উষ্ণ হয়েছে বিশ্ব। ফলে, বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার যদি কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যবস্থা না নেয়, তবে ভবিষ্যতে তাপমাত্রা লাগামছাড়া বাড়তে থাকবে।