ভারতের পাঞ্জাবে কারাগারে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সুযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৩:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • / 277
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি কারাগারের কয়েদিরা তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ একটি কক্ষে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েদিরা যেন তাদের সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারে, সেই সুযোগ করে দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। পাঞ্জাবের গোইন্দাল কারাগারে প্রথম এ সুবিধা পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ৬০ বছর বয়সী গুরজিৎ সিং। তিনি ওই কারাগারে বেশ কয়েক মাস ধরে বন্দী।

কারাগারে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে গুরজিৎ সিং বলেন, কারাগারে একা ও বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কারাগারেই ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পাওয়ায় বেশ স্বস্তি বোধ করেছি।

গত মাসে নতুন কর্মসূচি চালু হওয়ায় কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এ ধরনের সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এ সুবিধা চালু হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১৭টি কারাগারে এই সুবিধা চালুর কথা বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য কারাগারগুলো আয়তনে অনেক ছোট এবং একটি শিশুদের জন্য। এ কারণে এসব কারাগারে এ সুবিধা চালু করা যায়নি।

পাঞ্জাব কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কয়েদি আচার-আচরণে ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেয়া হবে। রাজ্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি এ সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি এ সুযোগ পেয়েছেন।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনীল সিং বলেন, ভারতের কিছু রাজ্য, যেমন রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কারাগারে যেসব কয়েদি ভালো আচরণ করেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে কারাগারের উন্মুক্ত জায়গায় সময় কাটানোর অনুমতি দেয়া হয়। এ ছাড়া ‘সন্তান জন্ম’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিদের ছুটির অনুমতিও দেন আদালত। তবে সারা দেশের পাঁচ লাখের বেশি কয়েদি বছরের পর বছর এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতের পাঞ্জাবে কারাগারে স্বামী-স্ত্রীর মিলনের সুযোগ

আপডেট : ০৩:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি কারাগারের কয়েদিরা তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ একটি কক্ষে সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েদিরা যেন তাদের সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারে, সেই সুযোগ করে দিয়েছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্য সরকার। পাঞ্জাবের গোইন্দাল কারাগারে প্রথম এ সুবিধা পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ৬০ বছর বয়সী গুরজিৎ সিং। তিনি ওই কারাগারে বেশ কয়েক মাস ধরে বন্দী।

কারাগারে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে গুরজিৎ সিং বলেন, কারাগারে একা ও বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কারাগারেই ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পাওয়ায় বেশ স্বস্তি বোধ করেছি।

গত মাসে নতুন কর্মসূচি চালু হওয়ায় কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এ ধরনের সুযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এ সুবিধা চালু হয়েছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১৭টি কারাগারে এই সুবিধা চালুর কথা বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য কারাগারগুলো আয়তনে অনেক ছোট এবং একটি শিশুদের জন্য। এ কারণে এসব কারাগারে এ সুবিধা চালু করা যায়নি।

পাঞ্জাব কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কয়েদি আচার-আচরণে ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেয়া হবে। রাজ্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি এ সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি এ সুযোগ পেয়েছেন।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনীল সিং বলেন, ভারতের কিছু রাজ্য, যেমন রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কারাগারে যেসব কয়েদি ভালো আচরণ করেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে কারাগারের উন্মুক্ত জায়গায় সময় কাটানোর অনুমতি দেয়া হয়। এ ছাড়া ‘সন্তান জন্ম’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিদের ছুটির অনুমতিও দেন আদালত। তবে সারা দেশের পাঁচ লাখের বেশি কয়েদি বছরের পর বছর এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।