ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রিমিয়া আর কখনোই ইউক্রেনের অংশ হবে না: ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 113
২০১৪ সালে রাশিয়া অধিভুক্ত কৃষ্ণ সাগর উপদ্বীপ ক্রিমিয়া আর কখনও ইউক্রেনের অংশ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। সোমবার কিয়েভকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তার আপত্তি জানিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

পূর্বাঞ্চলীয় শহর পেত্রিঞ্জায় সামরিক ব্যারাক পরিদর্শনকালে মিলানভিক কিভের জন্য পশ্চিমা সামরিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমারা যা করছে তা গভীরভাবে অনৈতিক, যা যুদ্ধের কোনো সমাধান হবে না।

পশ্চিমাদের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনাকারী মিলানোভিচ বলেন, তিনি চান না তার দেশ ইউক্রেনে ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হোক। মিলানোভিচ আরও বলেন, ইউক্রেনে জার্মান ট্যাঙ্কের আগমন কেবল রাশিয়াকে চীনের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে ক্রোয়েশিয়ার আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক মিশনে যোগ দেয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাদের এ সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ ও প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই প্লেঙ্কোভিচের মধ্যে বিদ্যমান গভীর বিভাজন প্রতিফলিত হয়েছিল।

এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচের সমালোচনা করেছে এবং তার মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি, যিনি কার্যকরভাবে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

এরআগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়ার উপর ইউক্রেনের শাসন পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ক্রিমিয়া আর কখনোই ইউক্রেনের অংশ হবে না: ক্রোয়েশিয়ান প্রেসিডেন্ট

আপডেট : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
২০১৪ সালে রাশিয়া অধিভুক্ত কৃষ্ণ সাগর উপদ্বীপ ক্রিমিয়া আর কখনও ইউক্রেনের অংশ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। সোমবার কিয়েভকে সামরিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তার আপত্তি জানিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

পূর্বাঞ্চলীয় শহর পেত্রিঞ্জায় সামরিক ব্যারাক পরিদর্শনকালে মিলানভিক কিভের জন্য পশ্চিমা সামরিক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে পশ্চিমারা যা করছে তা গভীরভাবে অনৈতিক, যা যুদ্ধের কোনো সমাধান হবে না।

পশ্চিমাদের কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনাকারী মিলানোভিচ বলেন, তিনি চান না তার দেশ ইউক্রেনে ১১ মাস ধরে চলা যুদ্ধের সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হোক। মিলানোভিচ আরও বলেন, ইউক্রেনে জার্মান ট্যাঙ্কের আগমন কেবল রাশিয়াকে চীনের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ডিসেম্বরে ক্রোয়েশিয়ার আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক মিশনে যোগ দেয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। তাদের এ সিদ্ধান্তে প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ ও প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই প্লেঙ্কোভিচের মধ্যে বিদ্যমান গভীর বিভাজন প্রতিফলিত হয়েছিল।

এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচের সমালোচনা করেছে এবং তার মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করি, যিনি কার্যকরভাবে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

এরআগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়ার উপর ইউক্রেনের শাসন পুনরুদ্ধার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।