ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

চলতি বছর সংকুচিত হবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি: আইএমএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 111
বিশ্বের অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির তুলনায় চলতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) । ফলে দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে সর্তক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মঙ্গলবার তার ২০২৩ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে আইএমএফ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, বিশ্বের উন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে যুক্তরাজ্যই একমাত্র দেশ হবে, চলতি বছর যার জিডিপির ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১.৪ শতাংশ, জার্মানিতে ০.১ শতাংশ এবং ফ্রান্সে ০.৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। এছাড়াও চীন কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমএফ। এমনকি নিষেধাজ্ঞা-বিধ্বস্ত রাশিয়া এখন এই বছর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলছে, পূর্বের পূর্বাভাস অনুযায়ী সামান্য বৃদ্ধির পরিবর্তে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০.৬ শতাংশ এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে আইএমএফ-এর মতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এখন সঠিক পথেই রয়েছে।

জিডিপি হল একটি পরিমাপ, যা একটি অর্থনীতি কতটা ভাল বা খারাপভাবে কাজ করছে। যদি একটি দেশের জিডিপি পরপর দুই চতুর্থাংশের জন্য হ্রাস পায়, তাহলে এর অর্থ হল এটি মন্দার মধ্যে রয়েছে এবং এর অর্থনীতি খারাপভাবে চলছে। সাধারণত এর অর্থ কোম্পানিগুলি কম অর্থ উপার্জন করে এবং বেকার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

আইএমএফ বলেছে, নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের উচ্চ শক্তির দাম এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মতো আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন করেছে।

আইএমএফ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ার গৌরিঞ্চাস বিবিসিকে বলেছেন, এটা সত্য যে আমরা ২০২৩ সালে একটি তীব্র মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছি। তবে কয়েক মাস ধরে ব্রিটিশ ট্রেজারি যে রূপরেখা দিয়েছে তাতে দেখা যায় যুক্তরাজ্য অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জকে সাবধানতার সাথে সমাধনের চেষ্টা করছে এবং আমরা মনে করি, তারা সঠিক পথে রয়েছে।

গৌরিঞ্চাস বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের পূর্বাভাসের আরেকটি কারণ হল দেশটির কর্মসংস্থান এখনও প্রাক-মহামারী স্তরের নীচে ছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ সীমা অতিক্রম করেছিল যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যার ফলে খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চলতি বছর সংকুচিত হবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি: আইএমএফ

আপডেট : ০৫:২০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
বিশ্বের অন্যান্য উন্নত অর্থনীতির তুলনায় চলতি বছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি সংকুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) । ফলে দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে বলে সর্তক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মঙ্গলবার তার ২০২৩ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে আইএমএফ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, বিশ্বের উন্নত এবং উদীয়মান অর্থনীতির মধ্যে যুক্তরাজ্যই একমাত্র দেশ হবে, চলতি বছর যার জিডিপির ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১.৪ শতাংশ, জার্মানিতে ০.১ শতাংশ এবং ফ্রান্সে ০.৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। এছাড়াও চীন কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমএফ। এমনকি নিষেধাজ্ঞা-বিধ্বস্ত রাশিয়া এখন এই বছর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলছে, পূর্বের পূর্বাভাস অনুযায়ী সামান্য বৃদ্ধির পরিবর্তে, ২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ০.৬ শতাংশ এবং গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) ০.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে। তবে আইএমএফ-এর মতে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এখন সঠিক পথেই রয়েছে।

জিডিপি হল একটি পরিমাপ, যা একটি অর্থনীতি কতটা ভাল বা খারাপভাবে কাজ করছে। যদি একটি দেশের জিডিপি পরপর দুই চতুর্থাংশের জন্য হ্রাস পায়, তাহলে এর অর্থ হল এটি মন্দার মধ্যে রয়েছে এবং এর অর্থনীতি খারাপভাবে চলছে। সাধারণত এর অর্থ কোম্পানিগুলি কম অর্থ উপার্জন করে এবং বেকার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।

আইএমএফ বলেছে, নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের উচ্চ শক্তির দাম এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মতো আর্থিক অবস্থার প্রতিফলন করেছে।

আইএমএফ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভিয়ার গৌরিঞ্চাস বিবিসিকে বলেছেন, এটা সত্য যে আমরা ২০২৩ সালে একটি তীব্র মন্দার পূর্বাভাস দিচ্ছি। তবে কয়েক মাস ধরে ব্রিটিশ ট্রেজারি যে রূপরেখা দিয়েছে তাতে দেখা যায় যুক্তরাজ্য অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জকে সাবধানতার সাথে সমাধনের চেষ্টা করছে এবং আমরা মনে করি, তারা সঠিক পথে রয়েছে।

গৌরিঞ্চাস বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের পূর্বাভাসের আরেকটি কারণ হল দেশটির কর্মসংস্থান এখনও প্রাক-মহামারী স্তরের নীচে ছিল।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ সীমা অতিক্রম করেছিল যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যার ফলে খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।