ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

তারল্য বাড়াতে ৫৪ বিলিয়ন ডলার ধার নিচ্ছে ‘সুইস ব্যাংক’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:২১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / 112
তিন দিনের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়েই ব্যাংক খাতে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ৫৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে বিশ্বখ্যাত ব্যাংক ক্রেডিট সুইস। বৃহস্পতিবার এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারল্য–সংকটে যেন পড়তে না হয়, সে জন্য ক্রেডিট সুসি আগেভাগে ঋণ নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এসভিবি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ক্রেডিট সুসি জানায়, তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে দুর্বলতা আছে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বুধবার ওয়াল স্ট্রিটে ক্রেডিট সুসির শেয়ারদর ২৪ শতাংশ পড়ে যায়। এ ঘটনার পর সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে জানায়, তারা আর ক্রেডিট সুসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করবে না। তাতে বিশ্বের প্রায় সব আর্থিক বাজারেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়; বড় বড় সূচকের খাড়া পতন হয়।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বলেছে, সুইস ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট সুপারভাইজরি অথরিটি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছে। সে জন্যই এ ঋণ দেয়া।

১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক ক্রেডিট সুইস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচারসহ বহুবিধ অভিযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২১ সালে লোকসান হয় এবং ২০২২ সালে এসে ২০০৮ সালের মন্দাপরবর্তী সবচেয়ে বাজে অবস্থায় চলে যায় ব্যাংকটি। ২০২৪ সাল নাগাদ লাভজনকও হয়ে উঠতে পারবে না বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তারল্য বাড়াতে ৫৪ বিলিয়ন ডলার ধার নিচ্ছে ‘সুইস ব্যাংক’

আপডেট : ০৭:২১:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
তিন দিনের ব্যবধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়েই ব্যাংক খাতে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ৫৪ বিলিয়ন বা ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে বিশ্বখ্যাত ব্যাংক ক্রেডিট সুইস। বৃহস্পতিবার এপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারল্য–সংকটে যেন পড়তে না হয়, সে জন্য ক্রেডিট সুসি আগেভাগে ঋণ নিচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এসভিবি ও সিগনেচার ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ক্রেডিট সুসি জানায়, তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে দুর্বলতা আছে। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর বুধবার ওয়াল স্ট্রিটে ক্রেডিট সুসির শেয়ারদর ২৪ শতাংশ পড়ে যায়। এ ঘটনার পর সৌদি ন্যাশনাল ব্যাংক তাৎক্ষণিকভাবে জানায়, তারা আর ক্রেডিট সুসি ব্যাংকে বিনিয়োগ করবে না। তাতে বিশ্বের প্রায় সব আর্থিক বাজারেই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়; বড় বড় সূচকের খাড়া পতন হয়।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক বলেছে, সুইস ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেট সুপারভাইজরি অথরিটি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছে। সে জন্যই এ ঋণ দেয়া।

১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক ক্রেডিট সুইস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থপাচারসহ বহুবিধ অভিযোগের সম্মুখীন হচ্ছে। ২০২১ সালে লোকসান হয় এবং ২০২২ সালে এসে ২০০৮ সালের মন্দাপরবর্তী সবচেয়ে বাজে অবস্থায় চলে যায় ব্যাংকটি। ২০২৪ সাল নাগাদ লাভজনকও হয়ে উঠতে পারবে না বলে পূর্বাভাস রয়েছে।