কাবুলে লাশ ফেলা হচ্ছে খালে, অক্ষত ১৫ বাংলাদেশি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১
  • / 152

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথে জোড়া বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের ভীতিকর পরিস্থিতি বিবরণ সামনে আসছে। প্রথমে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও এসেছে সর্বনিম্ন ৬০ জনের মৃত্যুর খবর। খালে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল মানুষের লাশ। বিচ্ছিন্ন মরদেহগুলো একত্রে করে সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে।

কাবুলে প্রথম বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী মিলাদ নামের একজন বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন ভীতিকর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

দেশে ফেরার জন্য এই একই বিমানবন্দরে ২০ মিনিট আগে অপেক্ষারত ছিলেন ১৫ বাংলাদেশি, তারা নিরাপদে অক্ষত আছেন। তবে বিমানবন্দরে থাকা নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে আরও বলেন, আমি আর দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরে যাবো না। আমেরিকা, তাদের উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের ভিসার মৃত্যু হোক।

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দতে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। তালেবানরা তখন বিমানবন্দরের গেটে ভীড় জমানো মানুষদের ছত্রভঙ্গ করতে আকাশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজনকে আহত শিশু হাতে দৌঁড়াতে দেখলাম।’ এটা দেখার পরপরই তিনি তার হাতে থাকা নথিপত্র ফেলে ছুটতে শুরু করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে ফ্লাইটে ওঠার জন্য সেসব কাগজ প্রস্তুত করেছিলেন।

তালেবানরা কাবুল দখল করে নেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা আফগানিস্তান ত্যাগ করছেন। এর আগে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত ২৭ বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে।

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বা বোমা হামলার জন্য আগে তালেবানকে দায়ী করা হত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবান এ অভিযোগ অস্বীকার করার পর এখন এ ধরনের হামলার জন্য ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসকে দায়ী করা হয়ে থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাবুলে লাশ ফেলা হচ্ছে খালে, অক্ষত ১৫ বাংলাদেশি

আপডেট : ০৭:০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অগাস্ট ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশপথে জোড়া বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের ভীতিকর পরিস্থিতি বিবরণ সামনে আসছে। প্রথমে ১৩ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও এসেছে সর্বনিম্ন ৬০ জনের মৃত্যুর খবর। খালে ফেলে দেওয়া হচ্ছিল মানুষের লাশ। বিচ্ছিন্ন মরদেহগুলো একত্রে করে সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে।

কাবুলে প্রথম বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী মিলাদ নামের একজন বার্তা সংস্থা এএফপিকে এমন ভীতিকর পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।

দেশে ফেরার জন্য এই একই বিমানবন্দরে ২০ মিনিট আগে অপেক্ষারত ছিলেন ১৫ বাংলাদেশি, তারা নিরাপদে অক্ষত আছেন। তবে বিমানবন্দরে থাকা নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে আরও বলেন, আমি আর দেশত্যাগের জন্য বিমানবন্দরে যাবো না। আমেরিকা, তাদের উদ্ধার কার্যক্রম ও তাদের ভিসার মৃত্যু হোক।

অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দতে মারাত্মক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। তালেবানরা তখন বিমানবন্দরের গেটে ভীড় জমানো মানুষদের ছত্রভঙ্গ করতে আকাশের দিকে বন্দুক তাক করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজনকে আহত শিশু হাতে দৌঁড়াতে দেখলাম।’ এটা দেখার পরপরই তিনি তার হাতে থাকা নথিপত্র ফেলে ছুটতে শুরু করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে ফ্লাইটে ওঠার জন্য সেসব কাগজ প্রস্তুত করেছিলেন।

তালেবানরা কাবুল দখল করে নেওয়ার পরে বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা আফগানিস্তান ত্যাগ করছেন। এর আগে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে এখন পর্যন্ত ২৭ বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে।

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বা বোমা হামলার জন্য আগে তালেবানকে দায়ী করা হত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবান এ অভিযোগ অস্বীকার করার পর এখন এ ধরনের হামলার জন্য ইরাক-সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসকে দায়ী করা হয়ে থাকে।