ঢাকা ০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্য সঙ্কটে আফগানিস্তান, জাতিসংঘের সতর্কতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 103
আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধ। আফগান সরকারের সেবা কার্যক্রম অচল। সরকারি কর্মচারিদের বেতন নেই। এ অবস্থায় এক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ সময়ে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজনকে অনাহারে থাকতে হবে। জাতিসংঘ থেকে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালেবান আফগানিস্তানের শাসনভার নেয়ার দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। দারিদ্র্যতা গ্রাস করেছে পুরো আফগানিস্তান। দেশ ছাড়তে মরিয়া সাধারণ আফগানরা ভিড় করেছেন পাকিস্তান সীমান্তে।

এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সীমান্তে আটকেপড়া আফগান নাগরিক।

এদিকে আফগানিস্তানের মানবিক সংকট মোকাবিলায় শিগগিরই জরুরি ভিত্তিতে তহবিল গঠনের জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির বিশেষ দূত রামিজ আলাকবারোভ। এছাড়া আফগানিস্তানে খাবারের দাম শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে শতকরা ৭৫ ভাগ।

আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে কাতার। ফলে তালেবানরাও পশ্চিমাদের কাছে কৌশলে ধরা। পশ্চিমাদের কথামতো সরকার গঠন ও পরিচালনা না করলে, তারা দেশ চালাতে পারবে না। ফলে এরই মধ্যে তারা জানিয়ে দিয়েছে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করবে।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেবে সাধারণ ক্ষমা। এখন পর্যন্ত তাদেরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এই স্বীকৃতি পেতে হলে তাদেরকে পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। তবেই আসবে বিদেশি সহায়তা।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স জেরদেন বলেছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। সঙ্কট শুরুর অনেক আগে থেকে অনেক আফগান দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছিলেন। তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে তা আরো শোচনীয় করে তুলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খাদ্য সঙ্কটে আফগানিস্তান, জাতিসংঘের সতর্কতা

আপডেট : ০১:২৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধ। আফগান সরকারের সেবা কার্যক্রম অচল। সরকারি কর্মচারিদের বেতন নেই। এ অবস্থায় এক মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

এ সময়ে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজনকে অনাহারে থাকতে হবে। জাতিসংঘ থেকে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

তালেবান আফগানিস্তানের শাসনভার নেয়ার দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতে রয়েছে অসংখ্য মানুষ। দারিদ্র্যতা গ্রাস করেছে পুরো আফগানিস্তান। দেশ ছাড়তে মরিয়া সাধারণ আফগানরা ভিড় করেছেন পাকিস্তান সীমান্তে।

এ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশগুলোকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সীমান্তে আটকেপড়া আফগান নাগরিক।

এদিকে আফগানিস্তানের মানবিক সংকট মোকাবিলায় শিগগিরই জরুরি ভিত্তিতে তহবিল গঠনের জন্য ধনী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানানো হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির বিশেষ দূত রামিজ আলাকবারোভ। এছাড়া আফগানিস্তানে খাবারের দাম শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিনে পেট্রোলের দাম বেড়েছে শতকরা ৭৫ ভাগ।

আন্তর্জাতিক সাহায্য ছাড়া আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে কাতার। ফলে তালেবানরাও পশ্চিমাদের কাছে কৌশলে ধরা। পশ্চিমাদের কথামতো সরকার গঠন ও পরিচালনা না করলে, তারা দেশ চালাতে পারবে না। ফলে এরই মধ্যে তারা জানিয়ে দিয়েছে সবার অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করবে।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেবে সাধারণ ক্ষমা। এখন পর্যন্ত তাদেরকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। এই স্বীকৃতি পেতে হলে তাদেরকে পরিবর্তন ঘটাতেই হবে। তবেই আসবে বিদেশি সহায়তা।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স জেরদেন বলেছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুবই শোচনীয়। সঙ্কট শুরুর অনেক আগে থেকে অনেক আফগান দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছিলেন। তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে তা আরো শোচনীয় করে তুলেছে।