মিয়ানমারে ইসলামবিদ্বেষী সেই বৌদ্ধ ভিক্ষু কারামুক্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 143

‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’ আশিন উইরাথু। ছবি: বিবিসি

মিয়ানমারের বিতর্কীত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথু কারামুক্ত হয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়, সামরিক জান্তা সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে তাকে কারামুক্ত করার কথা জানিয়েছে। ভিক্ষু আশিন তার কট্টর জাতীয়তাবাদী মনোভাব এবং ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কুখ্যাত।

এর আগে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার থাকাকালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় অং সান সু চির বেসামরিক সরকার।

ভিক্ষু আশিন উইরাথু সামরিক সরকারের একজন সমর্থক বলেও পরিচিত। মুসলিম, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের আক্রমণ করে বক্তব্য রাখার কারণে ‘বৌদ্ধদের বিন লাদেন’ নামেও পরিচিতি রয়েছে তার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে দেখা গেছে। সেসব সভা-সেমিনারে তিনি অং সান সু চি ও তার এনএলডি সরকারের সমালোচনা করে নানা জাতীয়তাবাদী বক্তব্যও দিয়েছেন।

২০১৯ সালে আশিনের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ও বিদ্বেষ’ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এর পরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরে গত বছরের নভেম্বরের দিকে তিনি আত্মসমর্পন করেন। তখন থেকে বিচার প্রক্রিয়াধীন ছিল।

গত সোমবার মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, আশিন উইরাথুর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে কেনো এসব অভিযোগ তুলে নেয়া হলো, তা ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

মিয়ানমারের ৯৬৯ আন্দোলনের একজন প্রভাবশালী নেতা এই আশিন উইরাথু। এ আন্দোলনের জড়িতদের দাবি হলো – বৌদ্ধরা নিজ ধর্মের লোকজনের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবে, সম্পদও নিজ ধর্মের মধ্যে বিক্রি হবে; একইভাবে বিয়েও হবে নিজেদের মধ্যে।

রাখাইনে ২০১২ সালে তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেন। আশিন উইরাথু টাইমস ম্যাগাজিনের কাভার হয়েছেন। সেখানে তার ছবি পাশে লেখা ছিল, ‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’ (বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদের মুখ)।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারে ইসলামবিদ্বেষী সেই বৌদ্ধ ভিক্ষু কারামুক্ত

আপডেট : ১১:৪৪:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
মিয়ানমারের বিতর্কীত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথু কারামুক্ত হয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়, সামরিক জান্তা সরকার সোমবার এক বিবৃতিতে তাকে কারামুক্ত করার কথা জানিয়েছে। ভিক্ষু আশিন তার কট্টর জাতীয়তাবাদী মনোভাব এবং ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কুখ্যাত।

এর আগে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার থাকাকালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয় এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় অং সান সু চির বেসামরিক সরকার।

ভিক্ষু আশিন উইরাথু সামরিক সরকারের একজন সমর্থক বলেও পরিচিত। মুসলিম, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের আক্রমণ করে বক্তব্য রাখার কারণে ‘বৌদ্ধদের বিন লাদেন’ নামেও পরিচিতি রয়েছে তার।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে দেখা গেছে। সেসব সভা-সেমিনারে তিনি অং সান সু চি ও তার এনএলডি সরকারের সমালোচনা করে নানা জাতীয়তাবাদী বক্তব্যও দিয়েছেন।

২০১৯ সালে আশিনের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ও বিদ্বেষ’ ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এর পরই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরে গত বছরের নভেম্বরের দিকে তিনি আত্মসমর্পন করেন। তখন থেকে বিচার প্রক্রিয়াধীন ছিল।

গত সোমবার মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে, আশিন উইরাথুর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে কেনো এসব অভিযোগ তুলে নেয়া হলো, তা ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

মিয়ানমারের ৯৬৯ আন্দোলনের একজন প্রভাবশালী নেতা এই আশিন উইরাথু। এ আন্দোলনের জড়িতদের দাবি হলো – বৌদ্ধরা নিজ ধর্মের লোকজনের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনবে, সম্পদও নিজ ধর্মের মধ্যে বিক্রি হবে; একইভাবে বিয়েও হবে নিজেদের মধ্যে।

রাখাইনে ২০১২ সালে তিনি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেন। আশিন উইরাথু টাইমস ম্যাগাজিনের কাভার হয়েছেন। সেখানে তার ছবি পাশে লেখা ছিল, ‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’ (বৌদ্ধ সন্ত্রাসবাদের মুখ)।