ঢাকা ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানকে ৩ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দেবে চীন  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 108
খাদ্য সামগ্রী এবং করোনাভাইরাস টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) অর্থমূল্যের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে চীন। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। চীন ইতোমধ্যে এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।

বুধবার পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমিনিস্তানের সাথে এক বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের জন্য এই সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।

ওয়াং ই বলেন, জরুরি সহায়তার মধ্যে থাকবে খাদ্যশস্য, শীতকালীন সরবরাহ, ওষুধ ও করোনা টিকার তিন মিলিয়ন ডোজ।

সম্প্রতি তালেবান ঘোষণা করে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীন তাদের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের স্থলসীমান্ত রয়েছে। ক্ষমতা দখলের আগেই তালেবানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চীন সফর করে আসেন। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, তালেবান ক্ষমতায় গেলে চীন থেকে সমর্থন পেতে পারে।

এদিন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক ও স্বাস্থ্য বিষয় ছাড়াও চীন আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ দমন ও মাদক নির্মূল সহ আরও অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে। এখন তালেবানের উচিত হবে সকল ‘চরমপন্থী গ্রুপের’ সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের প্রতিহত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছিলেন, ‘তালেবানের নতুন সরকারকে চীন গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এর মাধ্যমে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের নৈরাজ্যের সমাপ্তি ঘটেছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও দেশ গঠনে এটি প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।’

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বহু দেশ তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে ‘অপেক্ষা করো এবং দেখ’ নীতি গ্রহণ করলেও চীন ঘোষণা দেয় যে, তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তুত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আফগানিস্তানকে ৩ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দেবে চীন  

আপডেট : ০১:৩৪:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
খাদ্য সামগ্রী এবং করোনাভাইরাস টিকাসহ আফগানিস্তানকে ২০ কোটি ইউয়ান (৩ কোটি ১০ লাখ ডলার) অর্থমূল্যের সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে চীন। বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান। চীন ইতোমধ্যে এই সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে।

বুধবার পাকিস্তান, ইরান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং তুর্কমিনিস্তানের সাথে এক বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আফগানিস্তানের জন্য এই সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।

ওয়াং ই বলেন, জরুরি সহায়তার মধ্যে থাকবে খাদ্যশস্য, শীতকালীন সরবরাহ, ওষুধ ও করোনা টিকার তিন মিলিয়ন ডোজ।

সম্প্রতি তালেবান ঘোষণা করে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে চীন তাদের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের স্থলসীমান্ত রয়েছে। ক্ষমতা দখলের আগেই তালেবানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ চীন সফর করে আসেন। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, তালেবান ক্ষমতায় গেলে চীন থেকে সমর্থন পেতে পারে।

এদিন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবিক ও স্বাস্থ্য বিষয় ছাড়াও চীন আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ দমন ও মাদক নির্মূল সহ আরও অনেক বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে। এখন তালেবানের উচিত হবে সকল ‘চরমপন্থী গ্রুপের’ সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং তাদের প্রতিহত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছিলেন, ‘তালেবানের নতুন সরকারকে চীন গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এর মাধ্যমে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময়ের নৈরাজ্যের সমাপ্তি ঘটেছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ও দেশ গঠনে এটি প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ।’

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বহু দেশ তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে ‘অপেক্ষা করো এবং দেখ’ নীতি গ্রহণ করলেও চীন ঘোষণা দেয় যে, তারা তালেবানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তুত।