কাবুলে বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 138
সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে শিশুসহ ১০ বেসামরিক মানুষকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে ২৯ আগস্টের হামলায় ত্রাণ সংস্থার এককর্মীসহ তার পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু রয়েছে।

দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর দুই দশকের অভিযানের একেবারে শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলোর মধ্যে এই ‘মারাত্মক ভুল’টিও ছিল।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি বলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা প্রায় ৮ ঘণ্টা ওই ত্রাণ সংস্থার কর্মীর গাড়িটিকে অনুসরণ করেছিলেন, তাদের ধারণা ছিল গাড়িটি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িটিকে আইএস আইএস খোরাসানের (আইএস-কে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি কম্পাউন্ডে দেখা যায় এবং এর গতিবিধির সঙ্গে বিমানবন্দরে ফের হামলায় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা নিয়ে অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে নজরদারি করা একটি ড্রোন গাড়ির আরোহীদেরকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে কিছু একটা তুলতে দেখে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেছিলেন, তারা বিস্ফোরক তুলেছে। পরে প্রমাণিত হয়, তা ছিল পানির কনটেইনার।

আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ২০০ নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয় আইএস। তারা ফের হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা সতর্কও করেছিলেন। ওই সতর্কতার মধ্যেই ত্রাণ সংস্থার কর্মীর গাড়িতে ড্রোন হামলা হয়।

ম্যাককেনজি এই হামলাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ অভিহিত করেন। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতায় তালেবানের সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, এখন আমরা জানি, নিহতদের সঙ্গে আইএসআইএস-খোরাসানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেদিন তার কর্মকাণ্ড ছিল একেবারেই নিরীহ এবং যে ধরনের হুমকির মুখে ছিলাম বলে ধারণা ছিল আমাদের, তার সঙ্গে কোনো যোগই ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমা চাইছি এবং ভয়াবহ এই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বেধে দেওয়ার সময় অনুযায়ী ৩১ আগস্ট শেষ মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ে। তার আগে বিদেশি কূটনীতিক, সেনা ও তাদের সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার হযবরল পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে হওয়া এক আত্মঘাতী হামলার কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্র ওই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাবুলে বেসামরিক নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট : ১১:৪০:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে কাবুলে ড্রোন হামলা চালিয়ে শিশুসহ ১০ বেসামরিক মানুষকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসির

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের তদন্তে ২৯ আগস্টের হামলায় ত্রাণ সংস্থার এককর্মীসহ তার পরিবারের ৯ সদস্য নিহত হয়েছে বলে উঠে এসেছে। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু রয়েছে।

দেশটিতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর দুই দশকের অভিযানের একেবারে শেষ মুহুর্তে করা কাজগুলোর মধ্যে এই ‘মারাত্মক ভুল’টিও ছিল।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের জেনারেল কেনেথ ম্যাককেনজি বলেন, মার্কিন গোয়েন্দারা প্রায় ৮ ঘণ্টা ওই ত্রাণ সংস্থার কর্মীর গাড়িটিকে অনুসরণ করেছিলেন, তাদের ধারণা ছিল গাড়িটি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাড়িটিকে আইএস আইএস খোরাসানের (আইএস-কে) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি কম্পাউন্ডে দেখা যায় এবং এর গতিবিধির সঙ্গে বিমানবন্দরে ফের হামলায় সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা নিয়ে অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্যের মিল পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে নজরদারি করা একটি ড্রোন গাড়ির আরোহীদেরকে গাড়ির পেছনের ট্রাঙ্কে কিছু একটা তুলতে দেখে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেছিলেন, তারা বিস্ফোরক তুলেছে। পরে প্রমাণিত হয়, তা ছিল পানির কনটেইনার।

আগস্টে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় প্রায় ২০০ নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয় আইএস। তারা ফের হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা সতর্কও করেছিলেন। ওই সতর্কতার মধ্যেই ত্রাণ সংস্থার কর্মীর গাড়িতে ড্রোন হামলা হয়।

ম্যাককেনজি এই হামলাকে ‘মর্মান্তিক ভুল’ অভিহিত করেন। তাদের গোয়েন্দা তৎপরতায় তালেবানের সংশ্লিষ্টতা ছিল না বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, এখন আমরা জানি, নিহতদের সঙ্গে আইএসআইএস-খোরাসানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেদিন তার কর্মকাণ্ড ছিল একেবারেই নিরীহ এবং যে ধরনের হুমকির মুখে ছিলাম বলে ধারণা ছিল আমাদের, তার সঙ্গে কোনো যোগই ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমা চাইছি এবং ভয়াবহ এই ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বেধে দেওয়ার সময় অনুযায়ী ৩১ আগস্ট শেষ মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ে। তার আগে বিদেশি কূটনীতিক, সেনা ও তাদের সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার হযবরল পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরে হওয়া এক আত্মঘাতী হামলার কয়েকদিন পর যুক্তরাষ্ট্র ওই ড্রোন হামলা চালিয়েছিল।