ধোঁয়াশায় নারী শিক্ষা, স্কুলে যাচ্ছে মাধ্যমিকের আফগান ছেলেরা
- আপডেট : ০১:০৯:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / 133
প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়েদের ও নারী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীরা বলেছে, তারা বিদ্যালয়ে না ফিরতে পেরে ভেঙ্গে পড়েছে। সবকিছু খুব অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগছে।
গত মাসে ক্ষমতার দখল নেয়া তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছেন ১৯৯০ এর দশকের তালেবান শাসন ফিরে আসবে যখন তারা মেয়ে এবং নারীদের সব ধরনের অধিকারকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। জন মনে প্রশ্ন তবে কী আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হচ্ছে নারী শিক্ষা?
তবে নতুন সরকারের অধীনে, তালেবান কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, শরিয়া আইনের আওতায় নারীরা পড়াশোনা এবং কাজ করার অনুমতি পাবে।
কিন্তু কর্মজীবী নারীদের নিরাপত্তার অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে গোষ্ঠীটির যোদ্ধারা সব পুরুষদের নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী নারীদের মারধর করেছে।
শুক্রবার নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান এবং সেখানে এমন একটি বিভাগ খোলা হয়েছে যা একসময় কঠোর ধর্মীয় মতবাদ প্রয়োগ করতো।
শনিবার আফগান বিদ্যালয় খোলার আগে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব পুরুষ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া উচিৎ। মাধ্যমিক স্কুলগুলি সাধারণত ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এবং বেশিরভাগই আলাদা।
এদিকে আফগানিস্তানের সংবাদ সংস্থা বাখতার নিউজ এজেন্সি তালেবান মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে, মেয়েদের বিদ্যালয় খুলবে। কর্মকর্তারা বর্তমানে বিদ্যালয় খোলার ‘প্রক্রিয়া’ এবং শিক্ষকদের বিভাজনসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছেন।
তিনি বলেছেন যে, কর্মকর্তারা বয়স্ক স্কুলছাত্রীদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে, তালেবান ঘোষণা করেছিল যে মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার অনুমতি দেয়া হবে, কিন্তু তারা পুরুষদের পাশাপাশি পড়াশোনা করতে পারবে না এবং এর জন্য একটি নতুন ড্রেস কোড মানতে হবে।
অনেকে মনে করেন যে, নতুন নিয়ম কানুনের আওতায় নারীদের শিক্ষা থেকে বাদ দেয়া হবে কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আলাদা শ্রেণীকক্ষের সুযোগ করে দেয়ার সক্ষমতা নেই।