ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন গবেষণা : কোভিডের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 87
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। খবর এনডিটিভির।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে গাইলেন-বারি সিনড্রম (জিবিএস) নামের একটি বিরল জটিলতা বিকশিত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এ জটিলতা দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ-প্রতিরোধ প্রক্রিয়া স্নায়ুর ওপর আঘাত হানে। এতে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কখনো কখনো একেবারেই অচল হয়ে পড়ে (পক্ষাঘাতগ্রস্ত)।

গবেষকরা বলছেন, শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ সমস্যা ছাড়াও কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব সমস্যা দীর্ঘকালীনও হতে পারে।

গাইলেন-বারি সিনড্রম একটি স্বয়ংক্রিয়-রোগপ্রতিরোধ বিষয়ক জটিলতা, যা কয়েক সপ্তাহ- এমনকী কয়েক বছরও থাকতে পারে। তবে সচরাচর এ ধরনের ঘটনা তেমন একটা দেখা যায় না। এ ধরনের শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের তীব্র আক্রমণ দায়ী।

নেদারল্যান্ডসের রোটারডেমের ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক বার্ট সি জেকবস বলেন, ‘আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে যে, বিরল হলেও কোভিড-১৯ এর কারণে গাইলেন-বারি সিনড্রম দেখা দিতে পারে।’ ২০২০ সালের শুরুর দিকে এ জটিলতায় আক্রান্তদের উপর গবেষণা চালানো শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ গবেষণায় চীন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, গ্রীস, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের রোগীদের অংশগ্রহণ ছিল।

গবেষকরা দেখেছেন, ২২ শতাংশ গাইলেন-বারি সিনড্রমে আক্রান্ত ব্যক্তি মহামারির শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এসব রোগীদের প্রায় সবার বয়স ৫০ এর বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নতুন গবেষণা : কোভিডের কারণে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি

আপডেট : ০১:৫৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়। খবর এনডিটিভির।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে গাইলেন-বারি সিনড্রম (জিবিএস) নামের একটি বিরল জটিলতা বিকশিত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। এ জটিলতা দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ-প্রতিরোধ প্রক্রিয়া স্নায়ুর ওপর আঘাত হানে। এতে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং কখনো কখনো একেবারেই অচল হয়ে পড়ে (পক্ষাঘাতগ্রস্ত)।

গবেষকরা বলছেন, শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ সমস্যা ছাড়াও কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দেয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এসব সমস্যা দীর্ঘকালীনও হতে পারে।

গাইলেন-বারি সিনড্রম একটি স্বয়ংক্রিয়-রোগপ্রতিরোধ বিষয়ক জটিলতা, যা কয়েক সপ্তাহ- এমনকী কয়েক বছরও থাকতে পারে। তবে সচরাচর এ ধরনের ঘটনা তেমন একটা দেখা যায় না। এ ধরনের শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের তীব্র আক্রমণ দায়ী।

নেদারল্যান্ডসের রোটারডেমের ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক বার্ট সি জেকবস বলেন, ‘আমাদের গবেষণা দেখিয়েছে যে, বিরল হলেও কোভিড-১৯ এর কারণে গাইলেন-বারি সিনড্রম দেখা দিতে পারে।’ ২০২০ সালের শুরুর দিকে এ জটিলতায় আক্রান্তদের উপর গবেষণা চালানো শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ গবেষণায় চীন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, গ্রীস, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের রোগীদের অংশগ্রহণ ছিল।

গবেষকরা দেখেছেন, ২২ শতাংশ গাইলেন-বারি সিনড্রমে আক্রান্ত ব্যক্তি মহামারির শুরুর দিকে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এসব রোগীদের প্রায় সবার বয়স ৫০ এর বেশি।