ঢাকা ০৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ৭তম সফরে মোদি, জাতিসংঘে ভাষণ শনিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 93
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ নিয়ে সাতবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনদিনের সফরে এবার তার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। শনিবার তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ভাষণ দেবেন। শুক্রবার কোয়াড বৈঠকে যোগ দেবেন। খবর ডয়চে ভেলের।

কোয়াড মানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে গঠিত জোট। মূলত চীনকে মোকাবেলায় এ জোট তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করবেন মোদি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। তাছাড়া তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে মোদি যখন ওয়াশিংটন পৌঁছলেন তখন বৃষ্টি পড়ছিল। ছাতা হাতে তিনি বিমান থেকে বের হন। বিমানবন্দরের বাইরে ছিলেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয় বংশদ্ভূত মার্কিনি। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মোদিকে স্বাগত জানাতে সমবেত হয়েছিলেন। মোদি তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন; হাত মেলান।

এবার কোয়াড বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বৈঠকে মোদি ছাড়াও থাকবেন বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত মার্চে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এবার মুখোমুখি বৈঠক হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে তারা মতবিনিময় করতে পারবেন। সেখানে চীনকে কীভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে কথা হতে পারে।

তবে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে আফগানিস্তান, ভারত-মার্কিন সহযোগিতা ও বাণিজ্যের বিষয়গুলো। ভারতের কাছে এসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, মোদি যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

মোদির সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল। তিনি ট্রাম্পের জন্য আহমেদাবাদে ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর আয়োজন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ অনুষ্ঠানের জন্য বাইডেন তখন ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। তবে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার সঙ্গে মোদির ফোনে কথা হয়েছে।

ভারতের যখন করোনা মোকাবেলার জন্য টিকার কাঁচামাল, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অন্য জিনিসের দরকার ছিল, বাইডেন তা পাঠিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পর উপ-মহাদেশের পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন-মোদি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী শনিবার মোদি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। করোনা মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো তার ভাষণে প্রাধান্য পেতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রে ৭তম সফরে মোদি, জাতিসংঘে ভাষণ শনিবার

আপডেট : ০২:১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এ নিয়ে সাতবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনদিনের সফরে এবার তার ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। শনিবার তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ভাষণ দেবেন। শুক্রবার কোয়াড বৈঠকে যোগ দেবেন। খবর ডয়চে ভেলের।

কোয়াড মানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে গঠিত জোট। মূলত চীনকে মোকাবেলায় এ জোট তৈরি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করবেন মোদি। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথমবার দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হবে। তাছাড়া তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে মোদি যখন ওয়াশিংটন পৌঁছলেন তখন বৃষ্টি পড়ছিল। ছাতা হাতে তিনি বিমান থেকে বের হন। বিমানবন্দরের বাইরে ছিলেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয় বংশদ্ভূত মার্কিনি। তারা বৃষ্টি উপেক্ষা করে মোদিকে স্বাগত জানাতে সমবেত হয়েছিলেন। মোদি তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন; হাত মেলান।

এবার কোয়াড বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বৈঠকে মোদি ছাড়াও থাকবেন বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত মার্চে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু এবার মুখোমুখি বৈঠক হবে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে তারা মতবিনিময় করতে পারবেন। সেখানে চীনকে কীভাবে আটকানো যায় তা নিয়ে কথা হতে পারে।

তবে বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্ব পেতে পারে আফগানিস্তান, ভারত-মার্কিন সহযোগিতা ও বাণিজ্যের বিষয়গুলো। ভারতের কাছে এসব বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, মোদি যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

মোদির সঙ্গে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল। তিনি ট্রাম্পের জন্য আহমেদাবাদে ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর আয়োজন করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ অনুষ্ঠানের জন্য বাইডেন তখন ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। তবে বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার সঙ্গে মোদির ফোনে কথা হয়েছে।

ভারতের যখন করোনা মোকাবেলার জন্য টিকার কাঁচামাল, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও অন্য জিনিসের দরকার ছিল, বাইডেন তা পাঠিয়েছেন। আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের পর উপ-মহাদেশের পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন-মোদি প্রথম মুখোমুখি বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী শনিবার মোদি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন। করোনা মোকাবিলা, সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো তার ভাষণে প্রাধান্য পেতে পারে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছে।