মমতাকে ইতালি সফরে অনুমতি দিলো না মোদি সরকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 125
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতালির রোম সফরের অনুমতি দিল না ভারতের কেন্দ্রে থাকা নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে কর্মসূচিতে বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এ অনুষ্ঠান একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

আগামী অক্টোবরের ৬ এবং ৭ তারিখে রোমে ওই কর্মসূচি হওয়ার কথা। ইতালির একটি বেসরকারি সংগঠন ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা। তারা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, পোপ এবং ইতালির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাদের সঙ্গেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও। মমতা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন।

সে অনুয়ায়ি মমতার সফরসূচিও চূড়ান্ত করা হয়ে গিয়েছিল। নির্ধারিত ছিল, ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনের পর তিনি রোম সফরে যাবেন। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন মমতা। তখনই আচমকা এ চিঠি।

কেন এই সফরের অনুমতি দিল না ভারতের কেন্দ্র, তার আনুষ্ঠানিক কারণ যা-ই দেখানো হোক না কেন, তৃণমূলের একটি মহল মনে করছে, এর পিছনে ‘রাজনৈতিক কারণ’ রয়েছে। দলের নেতাদের একাংশের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক পর পরই মমতা ইউরোপ সফরে গেলে তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হবে।

বিশেষত, যখন সেই কর্মসূচিতে মমতার সঙ্গেই থাকবেন পৃথিবীর অর্থডক্স খ্রিস্টান চার্চের প্রধান। থাকার কথা কায়রোর গ্রেট ইমামেরও।

তাদের উপস্থিতিতে মমতা রাজনৈতিকভাবে দেশের বর্তমান শাসকদলকে বিভিন্ন কারণে আক্রমণ করলে তা কেন্দ্রের পক্ষে ‘বিড়ম্বনা’ তৈরি করবে। সে কারণেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একেবারে শেষমুহূর্তে মমতাকে রোম সফরে যাওয়ার অনুমতি দিল না বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

তাদের আরও বক্তব্য, বিষয়টি একেবারেই ‘রাজনৈতিক’। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হচ্ছে, ওই কর্মসূচিতে যাওয়াটা ভারতের একজন মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদার পক্ষে মানানসই নয়।

যে সংগঠনটির তরফে মমতাসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার বয়স পঞ্চাশের উপর (বস্তুত, ৫৩ বছর)। সারা পৃথিবীর ৭০টি দেশে তাদের সদস্য রয়েছে। সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। সমাজের বিভিন্ন পরিসরে সংস্থাটি কাজ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মমতাকে ইতালি সফরে অনুমতি দিলো না মোদি সরকার

আপডেট : ০১:২৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতালির রোম সফরের অনুমতি দিল না ভারতের কেন্দ্রে থাকা নরেন্দ্র মোদির সরকার। শুক্রবার গভীর রাতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে কর্মসূচিতে বাংলার (পশ্চিমবঙ্গ) মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, এ অনুষ্ঠান একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের।

আগামী অক্টোবরের ৬ এবং ৭ তারিখে রোমে ওই কর্মসূচি হওয়ার কথা। ইতালির একটি বেসরকারি সংগঠন ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা। তারা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, পোপ এবং ইতালির শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাদের সঙ্গেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও। মমতা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন।

সে অনুয়ায়ি মমতার সফরসূচিও চূড়ান্ত করা হয়ে গিয়েছিল। নির্ধারিত ছিল, ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনের পর তিনি রোম সফরে যাবেন। সেই মতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন মমতা। তখনই আচমকা এ চিঠি।

কেন এই সফরের অনুমতি দিল না ভারতের কেন্দ্র, তার আনুষ্ঠানিক কারণ যা-ই দেখানো হোক না কেন, তৃণমূলের একটি মহল মনে করছে, এর পিছনে ‘রাজনৈতিক কারণ’ রয়েছে। দলের নেতাদের একাংশের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের ঠিক পর পরই মমতা ইউরোপ সফরে গেলে তা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হবে।

বিশেষত, যখন সেই কর্মসূচিতে মমতার সঙ্গেই থাকবেন পৃথিবীর অর্থডক্স খ্রিস্টান চার্চের প্রধান। থাকার কথা কায়রোর গ্রেট ইমামেরও।

তাদের উপস্থিতিতে মমতা রাজনৈতিকভাবে দেশের বর্তমান শাসকদলকে বিভিন্ন কারণে আক্রমণ করলে তা কেন্দ্রের পক্ষে ‘বিড়ম্বনা’ তৈরি করবে। সে কারণেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একেবারে শেষমুহূর্তে মমতাকে রোম সফরে যাওয়ার অনুমতি দিল না বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।

তাদের আরও বক্তব্য, বিষয়টি একেবারেই ‘রাজনৈতিক’। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হচ্ছে, ওই কর্মসূচিতে যাওয়াটা ভারতের একজন মুখ্যমন্ত্রীর মর্যাদার পক্ষে মানানসই নয়।

যে সংগঠনটির তরফে মমতাসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার বয়স পঞ্চাশের উপর (বস্তুত, ৫৩ বছর)। সারা পৃথিবীর ৭০টি দেশে তাদের সদস্য রয়েছে। সদস্য সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। সমাজের বিভিন্ন পরিসরে সংস্থাটি কাজ করে।