ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার কানাডার দুই নাগরিককে মুক্তি দিলো চীন  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 98
চীনে আটক কানাডার দুই নাগরিক মুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার তাদের মুক্তি দিয়েছে চীন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, চীনে মুক্ত হয়ে কানাডার ওই দুই নাগরিক দেশে ফিরছেন। খবর এনডিটিভির।
কানাডার ওটোয়াতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো জানান, সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ ও ব্যাবসায়ী মাইকেল স্পেভর চীনের আকাশসীমা পার হয়েছেন এবং তারা দেশের পথে রয়েছেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় শনিবার তাদেরকে বহনকারী বিমান কানাডায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

চীনের নাগরিক হুয়াওয়ের নির্বাহী মেঙ ওয়ানঝোউকে (কানাডায়) আটকের পর কানাডার এ দুই নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করে চীন। পাল্টা-পাল্টি আটকের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।

সম্প্রতি কানাডায় গৃহবন্দী চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে এবং হুয়াওয়ের নির্বাহী মেঙ ওয়ানঝোউ তিন বছর পর মুক্তি পান। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় মামলার বিচার প্রক্রিয়া মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেঙ ওয়ানঝোউর বিরুদ্ধে মামলা মুলতবি থাকবে এবং যদি তিনি আদালত প্রদত্ত শর্তাবলী মেনে চলেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত মামলাটি বাতিল হয়ে যাবে।

সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ ও ব্যাবসায়ী মাইকেল স্পেভর। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, স্কাইকম নামের এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানের টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করছে হুয়াওয়ে। এতে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেয়া নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হয়েছে।

মেঙ ওয়ানঝোউ ভ্যাংকুভারের একটি আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর কানাডিয়ান প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেন, তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের প্রচেষ্টা প্রত্যাহার করেছে। এরপর বিচারক তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জালিয়াতির অভিযোগে মেং ওয়ানঝুকে ভ্যাংকুভার বিমানবন্দর থেকে আটক করে কানাডা। এরপর থেকে তিনি তিন বছর ধরে কঠোর নজরদারির মধ্যে তার ভ্যাংকুভারের বাড়িতে গৃহবন্দী ছিলেন।

তাকে আটক করার পর চীন ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতিও ঘটে। তবে মেঙ ওয়ানঝোউ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এবার কানাডার দুই নাগরিককে মুক্তি দিলো চীন  

আপডেট : ০১:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
চীনে আটক কানাডার দুই নাগরিক মুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার তাদের মুক্তি দিয়েছে চীন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, চীনে মুক্ত হয়ে কানাডার ওই দুই নাগরিক দেশে ফিরছেন। খবর এনডিটিভির।
কানাডার ওটোয়াতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো জানান, সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ ও ব্যাবসায়ী মাইকেল স্পেভর চীনের আকাশসীমা পার হয়েছেন এবং তারা দেশের পথে রয়েছেন। তিনি জানান, স্থানীয় সময় শনিবার তাদেরকে বহনকারী বিমান কানাডায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। 

চীনের নাগরিক হুয়াওয়ের নির্বাহী মেঙ ওয়ানঝোউকে (কানাডায়) আটকের পর কানাডার এ দুই নাগরিককে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক করে চীন। পাল্টা-পাল্টি আটকের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে।

সম্প্রতি কানাডায় গৃহবন্দী চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা রেন ঝেংফেইয়ের মেয়ে এবং হুয়াওয়ের নির্বাহী মেঙ ওয়ানঝোউ তিন বছর পর মুক্তি পান। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় মামলার বিচার প্রক্রিয়া মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেঙ ওয়ানঝোউর বিরুদ্ধে মামলা মুলতবি থাকবে এবং যদি তিনি আদালত প্রদত্ত শর্তাবলী মেনে চলেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত মামলাটি বাতিল হয়ে যাবে।

সাবেক কূটনীতিক মাইকেল কোভরিগ ও ব্যাবসায়ী মাইকেল স্পেভর। ছবি: বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, স্কাইকম নামের এক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইরানের টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করছে হুয়াওয়ে। এতে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেয়া নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হয়েছে।

মেঙ ওয়ানঝোউ ভ্যাংকুভারের একটি আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর কানাডিয়ান প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেন, তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের প্রচেষ্টা প্রত্যাহার করেছে। এরপর বিচারক তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জালিয়াতির অভিযোগে মেং ওয়ানঝুকে ভ্যাংকুভার বিমানবন্দর থেকে আটক করে কানাডা। এরপর থেকে তিনি তিন বছর ধরে কঠোর নজরদারির মধ্যে তার ভ্যাংকুভারের বাড়িতে গৃহবন্দী ছিলেন।

তাকে আটক করার পর চীন ব্যাপকভাবে ক্ষুব্ধ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতিও ঘটে। তবে মেঙ ওয়ানঝোউ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।