ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করবে ‘গুলাব’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 88
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলাব ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে আঘাত হেনে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করবে।

রোববার দুপুরে ভারতের আবহাওয়া অফিস এক বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের কালিঙ্গপাটনাম ও দক্ষিণ উড়িশার গোপালপুরের মধ্যবর্তী কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় একটানা সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার, যা ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। গুলাব স্থলভাগে ওঠে আসার পরও প্রায় একই গতি নিয়ে ৬ ঘণ্টার মতো তাণ্ডব চালাবে। তারপর ধীরে ধীরে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার শক্তি হারিয়ে ফেলবে।

বুলেটিনে আরও জানানো হয়, উপকূল অতিক্রমকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, ভিশাকাপাটনাম ও বিজিয়ানাগরম এবং দক্ষিণ উড়িশার গঞ্জম ও গজপতি জেলায় তাণ্ডব চালাবে। এছাড়া আরও ৭টি জেলায় নানা মাত্রার ঝড়ের শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এরপর স্থল নিম্নচাপ ও পরে লঘুচাপে পরিণত হয়ে শান্ত হবে।

এছাড়া উপকূলে আঘাত হানার সময় অর্ধমিটারের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টিপাত থাকবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

এদিকে বাংলাদেশের উপকূলে গুলাব আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাগরে নামার ক্ষেত্রে মাছ ধরা নৌকা ও সব ট্রলারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করবে ‘গুলাব’

আপডেট : ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গুলাব ভারতের উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে আঘাত হেনে মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করবে।

রোববার দুপুরে ভারতের আবহাওয়া অফিস এক বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের কালিঙ্গপাটনাম ও দক্ষিণ উড়িশার গোপালপুরের মধ্যবর্তী কোনো স্থান দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। এ সময় একটানা সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার, যা ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। গুলাব স্থলভাগে ওঠে আসার পরও প্রায় একই গতি নিয়ে ৬ ঘণ্টার মতো তাণ্ডব চালাবে। তারপর ধীরে ধীরে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার শক্তি হারিয়ে ফেলবে।

বুলেটিনে আরও জানানো হয়, উপকূল অতিক্রমকালে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম, ভিশাকাপাটনাম ও বিজিয়ানাগরম এবং দক্ষিণ উড়িশার গঞ্জম ও গজপতি জেলায় তাণ্ডব চালাবে। এছাড়া আরও ৭টি জেলায় নানা মাত্রার ঝড়ের শক্তি নিয়ে আঘাত হানবে। এরপর স্থল নিম্নচাপ ও পরে লঘুচাপে পরিণত হয়ে শান্ত হবে।

এছাড়া উপকূলে আঘাত হানার সময় অর্ধমিটারের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টিপাত থাকবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

এদিকে বাংলাদেশের উপকূলে গুলাব আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাগরে নামার ক্ষেত্রে মাছ ধরা নৌকা ও সব ট্রলারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে।