‘বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহন সংকট, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী’

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:৫৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 141
বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ, পণ্য পরিবহন সংকট সৃষ্টি করেছে আর এই সংকট জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জিনিসের দামও বেড়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পণ্য আনতে সময়ও লেগে যাচ্ছে। নানা কারণে বহির্বিশ্বের চাপটা আমাদের ওপর এসে পড়ছে। বাইরের দেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকার দরকার নেই, আমরা নিজেরা সব উৎপাদন করব। এজন্য সবাইকে বলেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের বাইরের দেশ থেকে আনতেই হচ্ছে। আমরা নিজেরা যদি উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করি, সেটা কিন্তু আমরা পারব। ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। পুরাতন প্রকল্প সম্পন্ন করলে, নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। তা নাহলে অহেতুক খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণ হয়। সেটি যেন না হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল, অগ্রগতি হচ্ছিল তখন প্রথমে আসলো কোভিড ১৯ অতিমারি, তার ধাক্কায় সারা বিশ্বব্যাপী, সব কিছু স্থবির। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, এখন আবার গাজায় গণহত্যা, আক্রমণ চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহন সংকট, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী’

আপডেট : ০৫:৫৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ, পণ্য পরিবহন সংকট সৃষ্টি করেছে আর এই সংকট জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে, যার জন্য বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে জিনিসের দামও বেড়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পণ্য আনতে সময়ও লেগে যাচ্ছে। নানা কারণে বহির্বিশ্বের চাপটা আমাদের ওপর এসে পড়ছে। বাইরের দেশের ওপর আমাদের নির্ভরশীল থাকার দরকার নেই, আমরা নিজেরা সব উৎপাদন করব। এজন্য সবাইকে বলেছি এক ইঞ্চি জমিও যেন পড়ে না থাকে।

তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের বাইরের দেশ থেকে আনতেই হচ্ছে। আমরা নিজেরা যদি উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা করি, সেটা কিন্তু আমরা পারব। ধীরে ধীরে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে যেসব প্রকল্পগুলো অল্প খরচ করলেই শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। পুরাতন প্রকল্প সম্পন্ন করলে, নতুন প্রকল্প নিতে পারবো। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেগুলোও দ্রুত শেষ করা উচিত। তা নাহলে অহেতুক খরচও বাড়ে, কালক্ষেপণ হয়। সেটি যেন না হয়।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে যেভাবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছিল, অগ্রগতি হচ্ছিল তখন প্রথমে আসলো কোভিড ১৯ অতিমারি, তার ধাক্কায় সারা বিশ্বব্যাপী, সব কিছু স্থবির। এরপর আসলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা, এখন আবার গাজায় গণহত্যা, আক্রমণ চলছে।