কারা পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 148
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসেছে। সভায় দলীয় সভাপতি ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করছেন। জানা গেছে, গত সংসদের বেশিরভাগ নারী নেত্রীর স্থান হবে না দ্বাদশ সংসদে। তাদের জায়গায় আসছেন নতুন মুখ। তবে কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের ভাষ্য, মনোনয়ন বোর্ডে শেখ হাসিনাই ঠিক করবেন কারা পাবেন এবারের সংসদের টিকিট।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য পাবেন দলের ত্যাগী এবং মাঠের পরীক্ষিত নারী নেত্রীরা। এক্ষেত্রে নানা কারণে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরাও এগিয়ে আছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীদের দেখা যাবে সংসদে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার নারীদের নামও শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারাও। শরিকদের মধ্য থেকে দু-তিনজনকে আওয়ামী লীগের কোটায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য করা হতে পারে। তবে এবার নতুনদের বেশি সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

অর্থাৎ দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া আগের নারী এমপিদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী নেত্রীরা প্রাধান্য পান। প্রার্থীর যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরাও থাকেন। বিভিন্ন পেশার খ্যাতিমান যারা তারাও থাকতে পারেন। এবারও এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দল মনোনয়ন দেবে।

তিনি আরও বলেন, একবার যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়, সাধারণত পরেরবার তাদের আর দেয়া হয় না। তবে বিশেষ কারণে দু-একজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

প্রসঙ্গত, সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ৯ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ৯ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করতে হবে।

সংবিধান অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নির্বাচিত সংসদ-সদস্য থাকলে ওই দল থেকে একজন প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ-সদস্য হবেন। সে হিসাবে আওয়ামী লীগ ৩৭টি নারী সংসদ-সদস্য পায়।

তবে এবারের সংসদে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য রয়েছেন, সেই হিসাবে তারা সম্মিলিতভাবে ১০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পেতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যরা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার হাতেই ছেড়ে দেন।

ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের ৪৮টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেতে যাচ্ছে। ১৪ দলীয় জোট ও স্বতন্ত্রভাবে জয়ী সংসদ-সদস্যরা সমর্থন দেওয়ায় আওয়ামী লীগ এ সংখ্যক আসন পেতে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কারা পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন

আপডেট : ০৫:০৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন দিতে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসেছে। সভায় দলীয় সভাপতি ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করছেন। জানা গেছে, গত সংসদের বেশিরভাগ নারী নেত্রীর স্থান হবে না দ্বাদশ সংসদে। তাদের জায়গায় আসছেন নতুন মুখ। তবে কারা পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাননি আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের ভাষ্য, মনোনয়ন বোর্ডে শেখ হাসিনাই ঠিক করবেন কারা পাবেন এবারের সংসদের টিকিট।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দ্বাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে প্রাধান্য পাবেন দলের ত্যাগী এবং মাঠের পরীক্ষিত নারী নেত্রীরা। এক্ষেত্রে নানা কারণে সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিতরাও এগিয়ে আছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীদের দেখা যাবে সংসদে। পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার নারীদের নামও শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছেন সংস্কৃতি অঙ্গনের তারকারাও। শরিকদের মধ্য থেকে দু-তিনজনকে আওয়ামী লীগের কোটায় সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য করা হতে পারে। তবে এবার নতুনদের বেশি সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

অর্থাৎ দু-একজন ব্যতিক্রম ছাড়া আগের নারী এমপিদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এ বিষয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংরক্ষিত নারী আসনে দলের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী নেত্রীরা প্রাধান্য পান। প্রার্থীর যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। এছাড়া অগ্নিসন্ত্রাস ও বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য এবং শহিদ পরিবারের সদস্যরাও থাকেন। বিভিন্ন পেশার খ্যাতিমান যারা তারাও থাকতে পারেন। এবারও এ বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দল মনোনয়ন দেবে।

তিনি আরও বলেন, একবার যাদের মনোনয়ন দেয়া হয়, সাধারণত পরেরবার তাদের আর দেয়া হয় না। তবে বিশেষ কারণে দু-একজনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে বলেও জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা।

প্রসঙ্গত, সাধারণ নির্বাচনের ফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ৯ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় ৯ এপ্রিলের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করতে হবে।

সংবিধান অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দলের ছয়জন নির্বাচিত সংসদ-সদস্য থাকলে ওই দল থেকে একজন প্রার্থী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ-সদস্য হবেন। সে হিসাবে আওয়ামী লীগ ৩৭টি নারী সংসদ-সদস্য পায়।

তবে এবারের সংসদে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্য রয়েছেন, সেই হিসাবে তারা সম্মিলিতভাবে ১০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য পেতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ জানুয়ারি স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে স্বতন্ত্র সংসদ-সদস্যরা সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার হাতেই ছেড়ে দেন।

ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের ৪৮টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেতে যাচ্ছে। ১৪ দলীয় জোট ও স্বতন্ত্রভাবে জয়ী সংসদ-সদস্যরা সমর্থন দেওয়ায় আওয়ামী লীগ এ সংখ্যক আসন পেতে যাচ্ছে।