বৃহস্পতিবার ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব এক বিবৃতিতে শাহেদ শফিককের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে।
হামলার শিকার সাংবাদিক শাহেদ শফিক বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারির দুপুরে হেঁটে পুরান ঢাকার বংশাল মোড় পার হচ্ছিলাম। আমার সঙ্গে জাগো নিউজের মুসা আহমেদ ও বাংলাভিশনের সাদ্দাম হোসাইন ছিলেন। এসময় রাসেল নামে এক ব্যক্তি উল্টো পথে এসে হঠাৎ আমার পায়ে মোটরসাইকেল দিয়ে দুই বার জোরে ধাক্কা দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে সে মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি আর লাথি দেয়। মুহূর্তেই চলে আসে তার আরও কয়েকজন সঙ্গী।
‘হামলায় আমি বুকে, মুখে, চোখে, হাতে, পায়ে, গলা, কোমর ও মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পাই। হাতের আঙ্গুল ও ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। তারা আমার পাঞ্জাবির কলার ছিড়ে ফেলে। আমি বমিও করি দুই বার। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এলে সহকর্মী সাংবাদিক মুসা আহমেদের উপরও হামলা হয়। পরে অপর সহকর্মী সাদ্দাম হোসেন আমাদেরকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান।
শাহেদ আরো জানান, ঘটনার পরে বাংশাল থানায় অভিযোগ দেই। হাসপাতালের সনদ, হামলাকারীদের ছবি, কয়েক শ প্রত্যক্ষদর্শী থাকলেও ১২ দিন পর মামলা নেয় পুলিশ। এখনও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।