ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
  • / 149

সংগৃহীত ছবি

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।আগামীকাল ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

এ উপলক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সব শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের তিনি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।

তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।

রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

আপডেট : ০৭:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।আগামীকাল ২৯ মে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে শুক্রবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান।

এ উপলক্ষ্যে তিনি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের সব শান্তিরক্ষীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারী বীর শান্তিরক্ষী সদস্যদের তিনি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত এ আদর্শ অনুসরণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে শান্তি ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে অদ্যাবধি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন।

তাদের অনন্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে এবং বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা শান্তিরক্ষা মিশনে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে অন্যতম শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। পেশাদারিত্বের পাশাপাশি অর্পিত দায়িত্বের প্রতি একনিষ্ঠতা, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও মানবিক আচরণ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের এই সাফল্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে।

রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২১ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস