দুই ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়
- আপডেট : ০৭:১২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
- / 226
চলমান লকডাউনের মধ্যে আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো ঘরমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে ঘাটগুলোতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (৭ মে) হওয়ার ফলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যক্তিগত ও ভাড়া যানবাহনে করে গন্তব্যে পৌঁছাতে দৌলতদিয়া ঘাট ও পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা। ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ঘরে ফেরা মানুষের চাপও তত বাড়ছে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে দূরপাল্লার বাস চলাচলের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। একইসঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা। এতোকিছুর পরও ঈদকে সামনে রেখে চলছে ঘরমুখো মানুষের ঢল। পথে পথে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে লোকাল বাস, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও ছোট যানবাহনে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। শতশত মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিও পার হচ্ছেন।
প্রতিটি ঘাটে যত দূর চোখ যায়, পণ্যবাহী গাড়ি, যাত্রীবাহী প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে শুক্রবার সকালে দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। অধিকাংশ যাত্রীই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে জেলার মধ্যে গণপরিবহন চালু হওয়ার পর থেকেই ঘাটে বাড়িমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তার উপর শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় চাপ বেশি।
স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে তিনি বলেন, সবসময়ই যাত্রীদের মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব মানার জন্য বারবার সর্তক করি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা শুনে না।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, লকডাউনের আগের দিনে ১৮টি ফেরির মধ্যে অধিকাংশগুলো চলাচল করলেও বর্তমানে দিনে পাঁচটি ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। আর এর ফলেই যানবাহনের যানজট তৈরি হচ্ছে। দুপুরের মধ্যেই ঘাটের চাপ কমে যাবে বলেও জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন ঘোষণা করে বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক লকডাউন। বন্ধ করা হয় সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাত্রী পরিবহন।
সম্প্রতি দোকান-পাট, শপিংমল ও বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করা হয়। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ করেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা।
পরে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে মহানগর ও জেলায় গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দিলেও নৌজানের ফেরি ছাড়া কিছুই চলছে না।