ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে নিরাপত্তার অভাবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
  • / 177
::অনলাইন ডেস্ক::

সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

রোববার সংসদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয় এবং সোমবার সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে।

বিদায়ী অর্থ বছরের (২০২০-২১) সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, চীন ও রাশিয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে এসেছিল। তারা ট্র্যায়াল দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের ট্র্যায়ালের অনুমতি দেইনি। তাদের প্রস্তাব সেই সময় গ্রহণ করলে এখন ভ্যাকসিনের সঙ্কট হতো না।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার। যে কারণে ভ্যাকসিন নিয়ে চীনের সাথে কথা হলেও ভ্যাকসিন পাব কী না তা অনিশ্চিত। আশা করবো এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিবেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে যেন ভারতের অবস্থা না হয়, সেজন্য টিকা দিতে হবে। কিন্তু বাজেটে ভ্যাকসিনের কোনো সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন নেই।

তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা ট্রায়াল দিতে বাংলাদেশ টিকা পেত। কেন সেটা করা হয়নি সে প্রশ্ন রেখে হারুন বলেন, ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ। যে কারণে চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে কিনা তা এখনো অনশ্চিত।

হারুন বলেন, গত এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ ছিল তা জনগণের কল্যাণে বা সঠিকভাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণে কাজে এসেছে, তা সরকার বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোরসহ যেখানে সংক্রমণ বেড়েছে সেখানে অন্ত্মত ১০০ শয্যার হাসপতালের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে মানুষ রাস্তায় মারা যাবে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সংষ্কারও দাবি করেন।

বিএনপির এই সাংসদ বলেন, বাজেট অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। কারণ করোনা বিবেচনায় সরকার বাজেট দিতে পারেনি। সরকারের নীতি এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত রমজানে লকডাউন ছিল। ঈদে মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে ছিল। যে মানুষ ৫০০ টাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজশাহী যেতে পারত তাকে তিন চার হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ করে ফেরিতে মানুষ পারাপার করা হল। এতে সংক্রমণ বেড়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এগুলো কি সরকারের ব্যর্থতা নয়? সরকারকে কি এসবের দায় নিতে হবে না?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট প্রস্তাবের সমালোচনা করে হারুন বলেন, এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়লগুলোর চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি শিক্ষার্থী পড়া লেকা করে। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সীমান্তে নিরাপত্তার অভাবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে

আপডেট : ০১:০৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুন ২০২১
::অনলাইন ডেস্ক::

সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

রোববার সংসদের বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয় এবং সোমবার সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে।

বিদায়ী অর্থ বছরের (২০২০-২১) সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, চীন ও রাশিয়া ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে প্রথমে এসেছিল। তারা ট্র্যায়াল দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা তাদের ট্র্যায়ালের অনুমতি দেইনি। তাদের প্রস্তাব সেই সময় গ্রহণ করলে এখন ভ্যাকসিনের সঙ্কট হতো না।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার। যে কারণে ভ্যাকসিন নিয়ে চীনের সাথে কথা হলেও ভ্যাকসিন পাব কী না তা অনিশ্চিত। আশা করবো এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণে সরকার যথাযথ উদ্যোগ নিবেন।

হারুনুর রশীদ বলেন, সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে যেন ভারতের অবস্থা না হয়, সেজন্য টিকা দিতে হবে। কিন্তু বাজেটে ভ্যাকসিনের কোনো সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন নেই।

তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা ট্রায়াল দিতে বাংলাদেশ টিকা পেত। কেন সেটা করা হয়নি সে প্রশ্ন রেখে হারুন বলেন, ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ। যে কারণে চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে কিনা তা এখনো অনশ্চিত।

হারুন বলেন, গত এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ ছিল তা জনগণের কল্যাণে বা সঠিকভাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণে কাজে এসেছে, তা সরকার বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোরসহ যেখানে সংক্রমণ বেড়েছে সেখানে অন্ত্মত ১০০ শয্যার হাসপতালের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে মানুষ রাস্তায় মারা যাবে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সংষ্কারও দাবি করেন।

বিএনপির এই সাংসদ বলেন, বাজেট অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। কারণ করোনা বিবেচনায় সরকার বাজেট দিতে পারেনি। সরকারের নীতি এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত রমজানে লকডাউন ছিল। ঈদে মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে ছিল। যে মানুষ ৫০০ টাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজশাহী যেতে পারত তাকে তিন চার হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ করে ফেরিতে মানুষ পারাপার করা হল। এতে সংক্রমণ বেড়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এগুলো কি সরকারের ব্যর্থতা নয়? সরকারকে কি এসবের দায় নিতে হবে না?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট প্রস্তাবের সমালোচনা করে হারুন বলেন, এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়লগুলোর চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশি শিক্ষার্থী পড়া লেকা করে। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।