ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কী ম্যাজিক দেখাবেন মেয়র তাপস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • / 128

ফাইল ছবি

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দিচ্ছে জলজট। ভারী বৃষ্টি হলে সেটি রূপ নিচ্ছে জলাবদ্ধতায়। অতি ভারী হলে পুরো শহরই অচল হয়ে পড়ে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, অতি ভারী বৃষ্টিতেও তিন ঘণ্টার মধ্যে নিরসন হবে শহরের জলাবদ্ধতা!

বুধবার এক অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, অতি ভারি বৃষ্টিপাত হলে তিন ঘণ্টা, ভারি বৃষ্টিপাত হলে দুই ঘণ্টা এবং সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে এক ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

তবে মেয়রের এই বক্তব্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বছরের পর বছর যাচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনে, উন্নতি নেই। সেখানে কি এমন ম্যাজিক নিয়ে আসছেন মেয়র? আর কবে নাগাত মেয়রের এই ম্যাজিক দেখতে পাবেন সেটিও জানতে চাচ্ছেন তারা।

অবশ্য তাপস জলাবদ্ধতার ব্যাপারে তিনটি ম্যাজিকের কথা বলেছেন। এগুলো হলো- স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী ম্যাজিক (পরিকল্পনা)।

স্বল্প মেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানী ড্রেন, খালগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি খাল পরিষ্কার করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর বাইরে জলাবদ্ধতা হলে তাৎক্ষনিক পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছে।

মধ্য মেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে জানা গেছে, রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের জন্য অকেজো ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে জানা গেছে, নতুন দায়িত্ব পাওয়া খালগুলো উদ্ধার করা হবে এবং খালগুলোর সঙ্গে ড্রেনের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা হবে।

যদিও করোনার কারণে অধিকাংশ কাজই বন্ধ রয়েছে। এখনো আগের মতো জলবন্ধতা দেখা দিলে সিটি করপোরেশনের তাৎক্ষনিক তৎপরতা চোখে পড়ছে।

সম্প্রতি খাল উদ্ধারের বিষয়ে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. রাসেল সাবরিন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, করোনার কারণে অভিযান বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে উদ্ধার কাজ চালাতে পুলিশসহ অন্যান্য জনবল পাচ্ছি না। করোনা স্বাভাবিক হলে খাল উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

অবশ্য সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, খাল পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, ড্রেন সংস্কার ও নতুন ড্রেন তৈরিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা এখন হচ্ছে না। জলাবদ্ধতার ব্যাপকতা দিনদিন কমে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কী ম্যাজিক দেখাবেন মেয়র তাপস

আপডেট : ০২:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টি হলেই দেখা দিচ্ছে জলজট। ভারী বৃষ্টি হলে সেটি রূপ নিচ্ছে জলাবদ্ধতায়। অতি ভারী হলে পুরো শহরই অচল হয়ে পড়ে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, অতি ভারী বৃষ্টিতেও তিন ঘণ্টার মধ্যে নিরসন হবে শহরের জলাবদ্ধতা!

বুধবার এক অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, অতি ভারি বৃষ্টিপাত হলে তিন ঘণ্টা, ভারি বৃষ্টিপাত হলে দুই ঘণ্টা এবং সাধারণ বৃষ্টিপাত হলে এক ঘণ্টার মধ্যেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ১০৩ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।

তবে মেয়রের এই বক্তব্যে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বছরের পর বছর যাচ্ছে জলাবদ্ধতা নিরসনে, উন্নতি নেই। সেখানে কি এমন ম্যাজিক নিয়ে আসছেন মেয়র? আর কবে নাগাত মেয়রের এই ম্যাজিক দেখতে পাবেন সেটিও জানতে চাচ্ছেন তারা।

অবশ্য তাপস জলাবদ্ধতার ব্যাপারে তিনটি ম্যাজিকের কথা বলেছেন। এগুলো হলো- স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী ম্যাজিক (পরিকল্পনা)।

স্বল্প মেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজধানী ড্রেন, খালগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি খাল পরিষ্কার করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এর বাইরে জলাবদ্ধতা হলে তাৎক্ষনিক পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছে।

মধ্য মেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে জানা গেছে, রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের জন্য অকেজো ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন ড্রেন তৈরি করা হচ্ছে।

দীর্ঘমেয়াদী ম্যাজিকের বিষয়ে জানা গেছে, নতুন দায়িত্ব পাওয়া খালগুলো উদ্ধার করা হবে এবং খালগুলোর সঙ্গে ড্রেনের নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ স্থাপন করা হবে।

যদিও করোনার কারণে অধিকাংশ কাজই বন্ধ রয়েছে। এখনো আগের মতো জলবন্ধতা দেখা দিলে সিটি করপোরেশনের তাৎক্ষনিক তৎপরতা চোখে পড়ছে।

সম্প্রতি খাল উদ্ধারের বিষয়ে ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. রাসেল সাবরিন বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, করোনার কারণে অভিযান বন্ধ রয়েছে। করোনার কারণে উদ্ধার কাজ চালাতে পুলিশসহ অন্যান্য জনবল পাচ্ছি না। করোনা স্বাভাবিক হলে খাল উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

অবশ্য সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দাবি, খাল পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, ড্রেন সংস্কার ও নতুন ড্রেন তৈরিতে আগের মতো জলাবদ্ধতা এখন হচ্ছে না। জলাবদ্ধতার ব্যাপকতা দিনদিন কমে আসছে।