৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব ও ৩০০ স্কুল অফ ফিউচার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট : ০৬:১৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
- / 205
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল দিবসের’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা সারেন। একইসাথে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল পদকও বিতরণ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে আমাদের ছেলেমেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা দেয়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিলো। এবার ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব এবং ৩০০ স্কুল অফ ফিউচার উদ্বোধন করা হলো। এর আগে আরও ৮ হাজার করা হয়েছিলো। সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব করা হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, আজকের শিশুরাই হবে আগামী দিনের কর্ণধার। আজকের শিশুরাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে; কোনো মানবাধিকার যেন লঙ্ঘন না হয়, কোনো শিশু যেন নির্যাতিত না হয়; প্রত্যেকেই যেন সুন্দর জীবন পায় সেটাই আমরা চাই। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ, সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সকল শিশুর মেধা বিকাশের সুযোগ হোক সেটাই আমি চাই। আজকে রাসেল নেই, আমরা তো সবই হারিয়েছি কিন্তু বাংলাদেশটা যেন সামনের দিকে এগিয়ে যায়।”
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম হয়েছিল শেখ রাসেলের। বেঁচে থাকলে মঙ্গলবার তার ৫৮ বছর পূর্ণ হতো।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার করে যে ঘাতক চক্র, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলকেও সেদিন তারা রেহাই দেয়নি।
শেখ রাসেলের জন্মদিবস এ বছর দ্বিতীয়বারের মত ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে। ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত, প্রাণবন্ত, নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশে পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে ‘দুরন্ত প্রাণবন্ত শেখ রাসেল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এবং ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ শীর্ষক ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের ট্রেইলার দেখানো হয়।
এ ছাড়া শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় অনুষ্ঠানে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন।