মানুষের গায়ে হাত দিলে তাদের রক্ষা নাই: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট : ০৭:১০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
- / 200
সরকারপ্রধান ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত-নিহতদের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশবাসীকে এটুকুই বলবো ওই দুঃসময়ের কথা যেন কেউ ভুলে না যায়।
রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ : বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ২০১৩-১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহতদের স্বজন এবং আহতদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকগণও ছিলেন।
এ ধরনের ঘটনা যাতে কেউ ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেশবাসীকে বলব এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে। এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর কেউ যেন ঘটাতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, দল মত নির্বিশেষে যেই হোক এদেশের প্রতিটি মানুষের স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার আছে। প্রতিটি মানুষের স্বাধীনভাবে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহের অধিকার আছে। প্রতিটি মানুষের সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার আছে। সেই অধিকার সংরক্ষণ করাই আমাদের দায়িত্ব, আমরা সেটাই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর বিচার হবেই, বিচারটা বোধহয় আল্লাহর তরফ থেকেই হবে। প্রত্যেক মামলায় বিচার চলছে না কিন্তু যারা এ ধরনের অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, বিচার হচ্ছে অনেকে শাস্তি পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও পাবে।
তিনি বলেন, মানুষ কীভাবে মানুষের ক্ষতি করতে পারে? এটাই নাকি আন্দোলন। এই আন্দোলন তো আমরা কখনো দেখিনি। আমরা তো কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি পেট্রোল বোমা দিয়ে অথবা অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করে সেটা আন্দোলন করা হবে। বিএনপির ঘোষণা দিল অবরোধ হরতাল কিন্তু কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৩ সালেই তো প্রায় তিন হাজার ৬০০ জনকে পেট্রোল বোমা মেরে তারা আহত করেছে, ২০১৪-২০১৫ তে করেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই আন্দোলন কী রকম আন্দোলন সেটা আমি জানি না। মানুষের জন্য আন্দোলন করতে হলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষকে নিয়েই তো আন্দোলন করবে। আর তারা আক্রমণ চালিয়েছে হত্যা, পাশবিক অত্যাচার, বাড়ি দখল করে।
অনুষ্ঠানে বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময়কার অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত-নিহত এবং আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনসহ বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজন এবং আহতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের খোঁজ খবর নেন।
এ সময় বিএনপি জামায়াতের আন্দোলনের সময় নিহতদের স্বজন এবং অগ্নিদগ্ধে আহতদের বেশ কয়েকজন তাদের সেই কষ্টের স্মৃতিচারণ করেন। সেই সব হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তাদের বিচার দাবি করেন তারা।