‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 148
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল নানা কথা বলে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২২ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব একথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে, অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে আমাকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। পরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। আমাকে অনেকে বলেছিল, কখনো সম্ভব না। এমনকি অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম, তারা বলেছিল এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা- এটাই বাংলাদেশের চরিত্র। এটা আমরা করতে পারি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের, তখন এটা নিয়ে অনেকে হেসেছে, বলেছে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন অনেক তরুণ গ্রামে বসে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় অর্থ উপার্জন করছে। ’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী আমাদের পাশে থাকে। তারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের কাছেও আমাদের পুলিশ, আর্মি অনেক প্রশংসিত। ’

জ্বালানি সংকটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ্বালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে। ’

রিজার্ভ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রথমে ক্ষমতায় আসার সময় রিজার্ভ ছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময় এটা ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আমরা তা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় যাতায়াত বন্ধ ছিল, আমদানি বন্ধ ছিল। এ জন্য রিজার্ভ জমে যায়। পরে সব চ্যানেল খুলে গেলে আমাদের আমাদানিতে রিজার্ভ ব্যয় করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা, টিকা গবেষণায় অর্থ দেয়াসহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জম ক্রয় করতে আমাদের অনেক টাকা লেগেছে। এগুলোর জন্য আমাদের ডলার খরচ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে’

আপডেট : ০৫:৩৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল নানা কথা বলে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ।

সোমবার সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২২ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব একথা বলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে, অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

সরকার প্রধান জানান, বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে আমাকে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। পরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। আমাকে অনেকে বলেছিল, কখনো সম্ভব না। এমনকি অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম, তারা বলেছিল এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা- এটাই বাংলাদেশের চরিত্র। এটা আমরা করতে পারি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের, তখন এটা নিয়ে অনেকে হেসেছে, বলেছে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন অনেক তরুণ গ্রামে বসে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় অর্থ উপার্জন করছে। ’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী আমাদের পাশে থাকে। তারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের কাছেও আমাদের পুলিশ, আর্মি অনেক প্রশংসিত। ’

জ্বালানি সংকটের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ্বালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে। ’

রিজার্ভ নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রথমে ক্ষমতায় আসার সময় রিজার্ভ ছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময় এটা ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আমরা তা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনার সময় যাতায়াত বন্ধ ছিল, আমদানি বন্ধ ছিল। এ জন্য রিজার্ভ জমে যায়। পরে সব চ্যানেল খুলে গেলে আমাদের আমাদানিতে রিজার্ভ ব্যয় করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা, টিকা গবেষণায় অর্থ দেয়াসহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জম ক্রয় করতে আমাদের অনেক টাকা লেগেছে। এগুলোর জন্য আমাদের ডলার খরচ হয়েছে।