ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 103
জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রকাশ হওয়া বই ‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’-এর মোড়ক উন্মেচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১২টায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় বইটির মোড়র উন্মোচন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বইটি সম্পাদনা করেছেন এস এস এফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।

আর্ট পেপারে ছাপা, শক্ত মলাটে বাঁধাই করা ১০০ পৃষ্ঠার এই বইতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে যেসব রিপোর্ট, বিশেষ প্রতিবেদন, ছবি ছাপা হয়েছিল সেই পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতা বাছাই করে সংকলিত করা হয়েছে।

এতে সেই সময়ের দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক পাকিস্তান ও পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা, দৈনিক সমাজ, দ্যা মর্নিং নিউজ ,দ্যা পিপলস, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অবজারভার প্রভৃতি পত্রিকার ৯৫টি প্রথম পাতা সন্নিবেশিত করা রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী, প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয়।

বইটি নতুন প্রজন্মের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়ক হবে।

মহান মাতৃভাষা আন্দোলনে বাঙালির মানসে যে আত্মচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ধাপে ধাপে সস্বাধীনতার আন্দোলনে উপনীত করেছেন। পরাধীনতার নিগড় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সুকঠিন ঐক্যে জোটবদ্ধ করেছেন। যৎসামান্য দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সমরবিদ্যায় সুশিক্ষিত ও বিপুল অস্ত্রধর হানাদার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহসী করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা, এমন নেতৃত্ব নজিরবিহীন।

১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্ষক্ষয়ী সংগ্রামে বিজয় অর্জনের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানে কারাবন্দী। সামরিক জান্তারা তার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন আদর্শে অটল। এদিকে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাঙালির স্বাধীনতা তথা বিজয়ের আনন্দ ছিল অসম্পূর্ণ। জাতির পিতার মুক্তির জন্য বাঙালির দাবি আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে পাকিস্তানী জান্তারা অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লণ্ডন ও ভারত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেদিন বিজয়ী বাঙালি তাদের মহানায়ককে বরণ করতে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। বইটিতে সেই অবিস্মরীয় দিনগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। 

বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী। বইটি পাওয়া যাবে জয়ীতা প্রকাশনীর ২০/২১ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয়ে এবং ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশের বইমেলায় জয়ীতা প্রকাশনীর স্টলে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৪:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৩
জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিতে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রকাশ হওয়া বই ‘ভেঙেছে দুয়ার এসেছ জ্যোতির্ময়’-এর মোড়ক উন্মেচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১২টায় গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভায় বইটির মোড়র উন্মোচন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বইটি সম্পাদনা করেছেন এস এস এফ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।

আর্ট পেপারে ছাপা, শক্ত মলাটে বাঁধাই করা ১০০ পৃষ্ঠার এই বইতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে যেসব রিপোর্ট, বিশেষ প্রতিবেদন, ছবি ছাপা হয়েছিল সেই পত্রিকাগুলোর প্রথম পাতা বাছাই করে সংকলিত করা হয়েছে।

এতে সেই সময়ের দৈনিক আজাদ, দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক পাকিস্তান ও পরবর্তীতে দৈনিক বাংলা, দৈনিক সমাজ, দ্যা মর্নিং নিউজ ,দ্যা পিপলস, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অবজারভার প্রভৃতি পত্রিকার ৯৫টি প্রথম পাতা সন্নিবেশিত করা রয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী, প্রকাশক ইয়াসিন কবীর জয়।

বইটি নতুন প্রজন্মের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ও অবদান এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে সহায়ক হবে।

মহান মাতৃভাষা আন্দোলনে বাঙালির মানসে যে আত্মচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ধাপে ধাপে সস্বাধীনতার আন্দোলনে উপনীত করেছেন। পরাধীনতার নিগড় থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সমগ্র বাঙালি জাতিকে এক সুকঠিন ঐক্যে জোটবদ্ধ করেছেন। যৎসামান্য দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সমরবিদ্যায় সুশিক্ষিত ও বিপুল অস্ত্রধর হানাদার পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সাহসী করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা, এমন নেতৃত্ব নজিরবিহীন।

১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস রক্ষক্ষয়ী সংগ্রামে বিজয় অর্জনের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পাকিস্তানে কারাবন্দী। সামরিক জান্তারা তার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন আদর্শে অটল। এদিকে বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাঙালির স্বাধীনতা তথা বিজয়ের আনন্দ ছিল অসম্পূর্ণ। জাতির পিতার মুক্তির জন্য বাঙালির দাবি আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপে পাকিস্তানী জান্তারা অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লণ্ডন ও ভারত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেদিন বিজয়ী বাঙালি তাদের মহানায়ককে বরণ করতে এক অবিস্মরণীয় সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। বইটিতে সেই অবিস্মরীয় দিনগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। 

বইটি প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী। বইটি পাওয়া যাবে জয়ীতা প্রকাশনীর ২০/২১ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয়ে এবং ফেব্রুয়ারিতে অমর একুশের বইমেলায় জয়ীতা প্রকাশনীর স্টলে।

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্তস্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন।