সুপ্রিমকোর্টের ঘটনা অনভিপ্রেত: ডিবিপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
  • / 124
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ আগের মতোই একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। তবে বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুলিশ, র‍্যাবের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে দুপুরে এ পর্যন্ত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল।

এর আগে বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল দশটা থেকে ভোট শুরুর কথা থাকলেও দুপুরের দিকে শুরু হয়। এদিন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের গঠন করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোলও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুপ্রিমকোর্টের ঘটনা অনভিপ্রেত: ডিবিপ্রধান

আপডেট : ০৭:২০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ আগের মতোই একসঙ্গে কাজ করবে। আমরা সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছি। তবে বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে আমরা সে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুলিশ, র‍্যাবের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে দুপুরে এ পর্যন্ত প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল।

এর আগে বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল দশটা থেকে ভোট শুরুর কথা থাকলেও দুপুরের দিকে শুরু হয়। এদিন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের গঠন করা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও হট্টগোলও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী পুলিশের লাঠিচার্জ ও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।