ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শতভাগ দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / 115

তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সিগারেটের নিম্ন স্ল্যাব দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছে দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো। শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি লিখিত বক্তব্যে এ দাবী তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত হতে আর এই খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত হতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানী বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সকল সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘গধফব রহ ইধহমষধফবংয’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানীর স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করে বলেন, ”বিদেশী ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধুমাত্র মধ্যম এবং উচ্চ স্তরে তৈরী করা যাবে। নিম্ন স্তরে কোন বিদেশী ব্র্যান্ড আমরা অষষড়ি করব না, এটা শুধুমাত্র দেশী শিল্পের জন্য দেশী ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।”

এই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতিপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহিত সকল সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধুমাত্র সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকার অধিক। এ খাতে সরকারের চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আহরিত হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ খাতের ব্যবসায়িক লাভ বৃটিশ আমেরিকান টোবাগো কোম্পানি ইঅঞইঈ, উরারফবহফ হিসেবে বৈদেশিক মূদ্রায় বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই লাভের কোন অংশ দেশের অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করেনা। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানীর লাভ দেশেই থেকে যায় এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব সঞ্চারী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট নীতি অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্ন স্ল্যাব এর ব্র্যান্ড শুধুমাত্র শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এর মূল্য বৃদ্ধি না করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানীগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিতে হবে।
তাছাড়াও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বন্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শতভাগ দেশীয় তামাক শিল্প রক্ষায় এগিয়ে আসুন

আপডেট : ০৮:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সিগারেটের নিম্ন স্ল্যাব দেশীয় কোম্পানির জন্য সংরক্ষণ এবং প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছে দেশীয় তামাক কোম্পানিগুলো। শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর সিক্স সিজন্স হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি লিখিত বক্তব্যে এ দাবী তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সিংহভাগ আসে মূসক খাত হতে আর এই খাতে আহরিত মোট রাজস্বের এক তৃতীয়াংশ আসে দেশের সিগারেট খাত হতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানী বহুমুখীকরণ, বেকারত্ব দূরীকরণসহ শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে সকল সেক্টরে ইতিবাচক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছেন। শুধুমাত্র দেশীয় শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটে ‘গধফব রহ ইধহমষধফবংয’ স্লোগানে দেশীয় শিল্পকে বিশেষ প্রণোদনা অথবা কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে তারাও সিগারেট খাতে অনুরূপ প্রণোদনা ও স্বার্থ সংরক্ষণের নীতি সহায়তা চান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে দেশীয় কোম্পানীর স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য নীতিমালা গ্রহণ করে বলেন, ”বিদেশী ব্র্যান্ডের সিগারেট শুধুমাত্র মধ্যম এবং উচ্চ স্তরে তৈরী করা যাবে। নিম্ন স্তরে কোন বিদেশী ব্র্যান্ড আমরা অষষড়ি করব না, এটা শুধুমাত্র দেশী শিল্পের জন্য দেশী ব্র্যান্ডের জন্য রিজার্ভ থাকছে।”

এই নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে জানিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে ইতিপূর্বে বাজেটের মাধ্যমে গৃহিত সকল সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে। শুধুমাত্র সিগারেট খাতে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন শিল্পের সুরক্ষার্থে এবং জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের মাধ্যমে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নে বিলম্বিত হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকার অধিক। এ খাতে সরকারের চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আহরিত হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। এ খাতের ব্যবসায়িক লাভ বৃটিশ আমেরিকান টোবাগো কোম্পানি ইঅঞইঈ, উরারফবহফ হিসেবে বৈদেশিক মূদ্রায় বাহিরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই লাভের কোন অংশ দেশের অন্য কোন খাতে বিনিয়োগ করেনা। অন্যদিকে দেশীয় কোম্পানীর লাভ দেশেই থেকে যায় এবং অন্যান্য খাতে রাজস্ব সঞ্চারী বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেট নীতি অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্ন স্ল্যাব এর ব্র্যান্ড শুধুমাত্র শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন কোম্পানির জন্য সংরক্ষিত রাখা এবং এর মূল্য বৃদ্ধি না করে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক কোম্পানীগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সুযোগ দিতে হবে।
তাছাড়াও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বন্টন ব্যবস্থা আনয়নে প্রতিযোগিতামূলক আইন-২০১২ বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।