ঢাকা ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
  • / 87
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শুধু থাকার ব্যবস্থাই নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, ঋণসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি।

বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা মানুষ ঘর পাবে, তার জীবন-জীবিকা হবে, কারও কাছে বোঝা হবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ১৪৯টি উপজেলা ভূমিহীন গৃহহীন করেছি, পঞ্চগড়সহ অনেক জেলাও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৯ জেলা ছাড়াও ২৫১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার আরও যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকে তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, একটি উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। দুর্যোগে কেউ ভূমিহীন হলে তাকেও ঘর করে দেওয়া হবে। ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসিই বড় পাওয়া।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারিপাড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর দেয়া হবে। এর আগে তিন দফায় এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়।

স্বামী-স্ত্রীর যৌথ মালিকানায় দুই শতাংশ জমি দলিল ও নামজারি করে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারা এই জমির পুরোপুরি মালিকানা পাচ্ছেন। তবে শর্তানুসারে তারা জমি হস্তান্তর করতে বা বন্ধক দিতে পারবেন না। ভবিষ্যতে গৃহ সংস্কারের প্রয়োজন হলে মালিকানা হিসেবে তারাই সেটা করবেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ’ ৩১টি ঘর। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মাধ্যমেও আবাসনি সুবিধা মিলেছে গৃহহীনদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশের কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৮:০১:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না সে ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি। শুধু থাকার ব্যবস্থাই নয়, সেই সঙ্গে পানির ব্যবস্থা, ঋণসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি।

বুধবার গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা মানুষ ঘর পাবে, তার জীবন-জীবিকা হবে, কারও কাছে বোঝা হবে না, নিজের পায়ে দাঁড়াবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ১৪৯টি উপজেলা ভূমিহীন গৃহহীন করেছি, পঞ্চগড়সহ অনেক জেলাও ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৯ জেলা ছাড়াও ২৫১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার আরও যদি কেউ ভূমিহীন, গৃহহীন থাকে তার তালিকা করবেন। আমরা তাদেরও ঘর করে দেব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ ঠিকানাহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, একটি উপজেলায়ও ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। দুর্যোগে কেউ ভূমিহীন হলে তাকেও ঘর করে দেওয়া হবে। ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসিই বড় পাওয়া।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং বরিশাল জেলার বানারিপাড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা দুই লাখ ৫৯ হাজার ২৩৭টি। এরমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি, তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ২০২২ সালের ২১ জুলাই ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর দেয়া হবে। এর আগে তিন দফায় এক লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দেয়া হয়।

স্বামী-স্ত্রীর যৌথ মালিকানায় দুই শতাংশ জমি দলিল ও নামজারি করে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ঘর হস্তান্তর করা হচ্ছে। তারা এই জমির পুরোপুরি মালিকানা পাচ্ছেন। তবে শর্তানুসারে তারা জমি হস্তান্তর করতে বা বন্ধক দিতে পারবেন না। ভবিষ্যতে গৃহ সংস্কারের প্রয়োজন হলে মালিকানা হিসেবে তারাই সেটা করবেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ’ ৩১টি ঘর। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মাধ্যমেও আবাসনি সুবিধা মিলেছে গৃহহীনদের।