বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করলো সৌদি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৬:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ মে ২০২৩
  • / 142

সৌদি আরব যেতে বাংলাদেশে চালু হলো ই-ভিসা। এর আগে ওমরাহ ও পর্যটন ভিসায় এই নিয়ম চালু থাকলেও বাংলাদেশেই প্রথম কর্মী ভিসাতেও এই নিয়ম চালু করলো সৌদি আরব। দেশটির দূতাবাস জানায়, কোনো ধরনের কোটা ছাড়াই সৌদি আরব প্রতিদিন গড়ে আট হাজার ভিসা দিচ্ছে।

সোমবার দুপুর একটার দিকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে এই ই-ভিসার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

পর্যটন, ওমরাহ, হজ এবং কর্মী ভিসা-এই চার ক্যাটাগরির সব গুলোতেই স্টিকার ভিসা চালু করেছিল ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। পরে হজ, ওমরাহ এবং পর্যটনের জন্য ই-ভিসা চালু হলেও কর্মীদের জন্য সোমবারই চালু হলো এই সেবা। এর ফলে নির্দিষ্ট এজেন্সি লাইনে দাঁড়িয়ে নয় কম্পিউটারে তথ্য পূরণ করেই আবেদন করতে পারবেন ভিসা প্রার্থীরা।

মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ কর্মী যায় কাজের জন্য। তবে এ ভিসা চালুর ফলে কর্মীরা আপাতত লাভবান হচ্ছেন না। বিশেষ করে দালালের হাত থেকে মুক্তি পেতে এ ভিসা কোনো কাজে আসবে না।

সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, কর্মীরা মূলত দালালের খপ্পরে পড়ে যখন তারা সৌদি যাবার ইচ্ছা পোষন করে। তখন তাদের বোঝানো হয় তারা অনেক টাকা বেতন পাবে এবং তাদের এমন কাজ দেয়া হবে যার যোগ্য তারা নয়। তাই তাদের উচিত শর্তগুলো জানা। আমরা ই ভিসাটি ইংরেজি এবং আরবিতে দেয়া থাকবে । যেন কর্মীরা বুঝতে পারে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহিদুল আলম মহাপরিচালক বলেন, কর্মীরা যেন সৌদি গিয়ে ভিসা নিয়ে প্রতারিত না হন সেদিকে দূতাবাসের খেয়াল রাখা উচিত।

এসময় সৌদি রাষ্ট্রদূত যুদ্ধ শুরু হওয়া সুদান থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধারের ব্যাপারে তার দেশের আন্তরিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশিদের জন্য ই-ভিসা চালু করলো সৌদি

আপডেট : ০৬:৪৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১ মে ২০২৩

সৌদি আরব যেতে বাংলাদেশে চালু হলো ই-ভিসা। এর আগে ওমরাহ ও পর্যটন ভিসায় এই নিয়ম চালু থাকলেও বাংলাদেশেই প্রথম কর্মী ভিসাতেও এই নিয়ম চালু করলো সৌদি আরব। দেশটির দূতাবাস জানায়, কোনো ধরনের কোটা ছাড়াই সৌদি আরব প্রতিদিন গড়ে আট হাজার ভিসা দিচ্ছে।

সোমবার দুপুর একটার দিকে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসে এই ই-ভিসার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

পর্যটন, ওমরাহ, হজ এবং কর্মী ভিসা-এই চার ক্যাটাগরির সব গুলোতেই স্টিকার ভিসা চালু করেছিল ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস। পরে হজ, ওমরাহ এবং পর্যটনের জন্য ই-ভিসা চালু হলেও কর্মীদের জন্য সোমবারই চালু হলো এই সেবা। এর ফলে নির্দিষ্ট এজেন্সি লাইনে দাঁড়িয়ে নয় কম্পিউটারে তথ্য পূরণ করেই আবেদন করতে পারবেন ভিসা প্রার্থীরা।

মধ্য প্রাচ্যের এই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ কর্মী যায় কাজের জন্য। তবে এ ভিসা চালুর ফলে কর্মীরা আপাতত লাভবান হচ্ছেন না। বিশেষ করে দালালের হাত থেকে মুক্তি পেতে এ ভিসা কোনো কাজে আসবে না।

সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, কর্মীরা মূলত দালালের খপ্পরে পড়ে যখন তারা সৌদি যাবার ইচ্ছা পোষন করে। তখন তাদের বোঝানো হয় তারা অনেক টাকা বেতন পাবে এবং তাদের এমন কাজ দেয়া হবে যার যোগ্য তারা নয়। তাই তাদের উচিত শর্তগুলো জানা। আমরা ই ভিসাটি ইংরেজি এবং আরবিতে দেয়া থাকবে । যেন কর্মীরা বুঝতে পারে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহিদুল আলম মহাপরিচালক বলেন, কর্মীরা যেন সৌদি গিয়ে ভিসা নিয়ে প্রতারিত না হন সেদিকে দূতাবাসের খেয়াল রাখা উচিত।

এসময় সৌদি রাষ্ট্রদূত যুদ্ধ শুরু হওয়া সুদান থেকে বাংলাদেশিদের উদ্ধারের ব্যাপারে তার দেশের আন্তরিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন।