বাংলাদেশকে ১.৮ মিলিয়ন টন এলএনজি দেবে কাতার

- আপডেট : ০৮:৩১:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
- / 56
বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ খবর জানানো হয়।
কাতার-বাংলাদেশের এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন সেরিদা আল কাবি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৩১ মে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কাতার যায়। জ্বালানি সচিব ড. খায়েরুজ্জামান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী আব্দুল মুকিত প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে সেখানে যান।
পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি অস্থিরতার এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অর্জন বলে মন্ত্রণালয়ের পেজে মন্তব্য করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্বালানী কূটনৈতিক দক্ষতার আরেকটি অনন্য উদাহারণ।
সম্প্রতি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২৩-২৫ মে দোহা সফরকালে আমিরি দেওয়ানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তার ওই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে কাতারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব দিলে ইতিবাচক সাড়া দেয় কাতার।
কাতার থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১.৮-২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করে কাতার। চলতি বছর কাতার থেকে ৪০টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যার মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি কার্গো এসেছে।
এদিকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির মূল্য বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ইউক্রেন সংকটের কারণে গত এক বছর ধরে এলএনজির দাম বেড়েছে। ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে পেট্রোলিয়াম পণ্যে সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। এ চুক্তির মাধ্যমে তা পূরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।