জাতীয়করণের দাবি: শিক্ষকদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগ বাড়ছে
- আপডেট : ০৫:১৩:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
- / 138
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। সকাল ৮টা থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন তারা। সকাল ১০টার মধ্যে পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড়গামী রাস্তা অবরোধ করেন তারা। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা ছিল প্রেসক্লাবের অপরপ্রান্তের সড়ক। এরপর ওই সড়কও বন্ধ করে দেয় আন্দোলকারীরা।
দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলছে। শিক্ষকরা রাস্তা অবরোধ করে দাবি আদায়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এতে হাইকোর্ট-মৎস্য ভবন হয়ে গুলিস্তান অভিমুখী রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে যানবাহনের দীর্ঘসারি দেখা গেছে।
সড়ক অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। চাইলে সড়ক অবরোধ না করেও তো আন্দোলন করা যেতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিরাজগঞ্জের বিয়ারা হাইস্কুলের শিক্ষক খায়রুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অনেক আগ থেকে বলে আসছি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। কিন্তু আমাদের দাবি তো সরকার মানছে না। সেজন্য আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি না মানলে আমরা রাস্তা অবরোধ করেই রাখব।
কিশোরগঞ্জের জাকারিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ সৈকত বলেন, আজকে নিয়ে আমরা আটদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে। আমরা রাস্তা ছাড়ব না। আমাদের দাবি মানতে হবে।
ফিরোজপুর মটবাড়ির তুশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নূর নবী বলেন, আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন। আমরা যৌক্তিক দাবি করছি। আমরা তো অন্যায় দাবি করছি না।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈষম্য কমানোর দাবিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে পল্টন মোড় থেকে হাইকোর্ট মোড় রাস্তা অবরোধ করেন তারা। বিকেলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক নেহাল আহমেদের আহ্বানে বৈঠকে অংশ নিতে মাউশিতে যান আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতিনিধিদের পাঁচ সদস্যের একটি দল। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। তবে বৈঠকের পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।
দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) ব্যানারে আন্দোলনে সরব রয়েছেন শিক্ষকরা। সারাদেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।