তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ফের বন্যার শঙ্কা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেট : ০৫:১৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 164
ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির পাশাপাশি নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম রাজার হাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার শূন্য সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের এলাকারবাসীরা জানান, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে অনেকের আমন ক্ষেত তলিয়ে যায়। পরে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করে অনেকে। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে সবার।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন- আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৬ ও ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, ফের বন্যার শঙ্কা

আপডেট : ০৫:১৬:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বর্তমানে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টির পাশাপাশি নিচু এলাকার আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম রাজার হাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্ট পানি বিপৎসীমার শূন্য সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার নদের পানি ৮৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের এলাকারবাসীরা জানান, কিছুদিন আগে বৃষ্টির পানিতে অনেকের আমন ক্ষেত তলিয়ে যায়। পরে পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আবার নতুন করে জমিতে ধান রোপণ করে অনেকে। এবার যদি আবার বন্যা এসে ধান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে সবার।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন- আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৬ ও ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বাড়তে পারে। এতে উলিপুর, চিলমারী ও সদরের কিছু অংশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।