এলপিজির ন্যায্য মূল্য না নিলেই, লাইসেন্স বাতিল : প্রতিমন্ত্রী
- আপডেট : ০৫:২১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / 118
বোরবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইপিবি অডিটরিয়ামে হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন।
তিনি বলেন, ডিলারশিপ দেয়ার ক্ষেত্রে আমদানিরকারকদের নজরদারি থাকা দরকার। ডিলারের উপ-ডিলার, তারপর খুচরা বিক্রেতা এভাবে কয়েকহাত ঘুরে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বিইআরসি নজরদারি করছে, অপরেটরদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। দরকার পড়লে, লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা থাকতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল ৯ লাখ টন। এখন ১৪ লাখ টনের ওপরে। চাহিদা ২০/২২ গুণ বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। এটার যুগপোযোগী নীতিমালা জরুরি। আরও আধুনিক নীতিমালা করা দরকার। কোথায় ব্যবহৃত হবে তার একটি গাইডলাইন থাকা দরকার। যত্রতত্র যাতে না বসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা থাকা দরকার। আমাদের দেশ উন্নত হচ্ছে, এখন এসব বিষয়ে দেখা দরকার। রেগুলেটরি অথরিটির জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বহুতল ভবনে এলপিজি ব্যবহার করতে পারে। তারা একটি এলাকা ধরে কাজ করতে পারে। পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণের চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। ভবিষ্যতে কোথায় কীভাবে গ্যাস দেবো তার জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সিলিন্ডার লিকেজের ঘটনায় নসরুল হামিদ বলেন, যা ঘটেছে সেটা খুবই মর্মান্তিক। কী কারণে ঘটেছে পরে খতিয়ে দেখা হয়েছে। সিলিন্ডার লিকেজের কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব রোধে রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন অথরিটির সঙ্গে বসা দরকার।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার খলিলুর রহমান খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী।