বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিল জেনারেল জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / 183

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ এবং ৫টি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আত্মমর্যাদাশীল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল সেই সময়ের সরকার। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশকে আবারও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি যে লাভবান হয়েছিলেন তিনি মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টও রিনিউ করতে দেননি। এমনকি লন্ডনে যখন জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবিতে ১৯৮০ সালে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল; সেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা এদেশে আসতে চেয়েছিলেন; তাদের আসতে দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান তাদের ভিসা দেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের (বিসিএস কর্মকর্তা) প্রশিক্ষণকে দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করতে হবে। আপনাদেরকে অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। কারণে আমরা যে টাকায় চলি, সেটা কৃষকদের পরিশ্রমের কারণেই আসে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা আমাদের জন্য পরিশ্রম করে। সুতরাং তাদের সেই পরিশ্রমকে মাথায় রাখতে হবে। আজকে আমার একটাই কথা থাকবে, আপনাদেরকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

রপ্তানি ক্ষেত্রে শুধু একটি খাত নিয়ে পড়ে থাকলেই চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকে বহুমূখীকরণ করতে হবে এবং এর জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে নিতে হবে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন আমরা ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি (অর্থনৈতিক কূটনীতি) অবলম্বন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন আর্থিক সচ্ছ্বলতা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন আমরা ভূমি উন্নয়ন করছি, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করছি- এভাবে মানুষের কীভাবে আর্থিক সচ্ছ্বলতা আসে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রতিটা উন্নয়ন যেন টেকসই হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশনের পরেও আমরা এখনও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। একসময় অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন সম্ভব না। শুনে কষ্ট হতো। কিন্তু পরে জিদ চেপে গেছিল। মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যেন সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে (অংশীদারত্ব) এগিয়ে আসতে পারে। এখন কিন্তু বিদেশিরা সবাই জিজ্ঞাসা করেন যে ম্যাজিকটা কোথায়? তখন বলি, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোলেই জাতিকে উন্নত করা যায়।

বক্তব্যের শেষে ‘আমাদের একেকজন অফিসার একেকজন রত্ন হিসেবে গড়ে উঠবেন’ এই আশাবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশটা যেন এগিয়ে যায়। আজকে পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যতটুকু করেছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ দিয়েছিল জেনারেল জিয়া

আপডেট : ০৭:০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ এবং ৫টি প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত উন্নয়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে আত্মমর্যাদাশীল করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিল সেই সময়ের সরকার। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশকে আবারও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হয়।

জাতির পিতাকে হত্যার পর সবচেয়ে বেশি যে লাভবান হয়েছিলেন তিনি মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান। তিনি আমার ছোট বোনের পাসপোর্টও রিনিউ করতে দেননি। এমনকি লন্ডনে যখন জাতির পিতার হত্যার বিচারের দাবিতে ১৯৮০ সালে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল; সেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা এদেশে আসতে চেয়েছিলেন; তাদের আসতে দেয়া হয়নি। জিয়াউর রহমান তাদের ভিসা দেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনাদের (বিসিএস কর্মকর্তা) প্রশিক্ষণকে দেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করতে হবে। আপনাদেরকে অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। কারণে আমরা যে টাকায় চলি, সেটা কৃষকদের পরিশ্রমের কারণেই আসে। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে তারা আমাদের জন্য পরিশ্রম করে। সুতরাং তাদের সেই পরিশ্রমকে মাথায় রাখতে হবে। আজকে আমার একটাই কথা থাকবে, আপনাদেরকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।

রপ্তানি ক্ষেত্রে শুধু একটি খাত নিয়ে পড়ে থাকলেই চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রপ্তানিকে বহুমূখীকরণ করতে হবে এবং এর জন্য নতুন নতুন বাজার খুঁজে নিতে হবে। আমরা এরই মধ্যে এসব বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। এখন আমরা ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি (অর্থনৈতিক কূটনীতি) অবলম্বন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন আর্থিক সচ্ছ্বলতা পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন আমরা ভূমি উন্নয়ন করছি, আশ্রয়ের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করছি- এভাবে মানুষের কীভাবে আর্থিক সচ্ছ্বলতা আসে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। খাদ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি পরিবেশের কথাও ভাবতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রতিটা উন্নয়ন যেন টেকসই হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশনের পরেও আমরা এখনও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এগিয়ে রয়েছি। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। একসময় অনেকে বলেছিল, বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন সম্ভব না। শুনে কষ্ট হতো। কিন্তু পরে জিদ চেপে গেছিল। মনে মনে ঠিক করেছিলাম যে বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যেন সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে (অংশীদারত্ব) এগিয়ে আসতে পারে। এখন কিন্তু বিদেশিরা সবাই জিজ্ঞাসা করেন যে ম্যাজিকটা কোথায়? তখন বলি, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগোলেই জাতিকে উন্নত করা যায়।

বক্তব্যের শেষে ‘আমাদের একেকজন অফিসার একেকজন রত্ন হিসেবে গড়ে উঠবেন’ এই আশাবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা চাই, দেশটা যেন এগিয়ে যায়। আজকে পর্যন্ত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন যতটুকু করেছি, সেটা যেন অব্যাহত থাকে।