ভিত্তিহীন সংবাদই বিআইডব্লিউটিএ’র সেবা প্রদানের অন্তরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:২৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / 207

দেশের যেসব নৌ রুট বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়ার হুমকিতে সেই রুটগুলো সচল করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ১৯৬২-৬৭ সালের দিকে এক জরিপে বাংলাদেশে নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নদীপথের সংখ্যা কমে আসলেও দেশের বর্তমান নৌপথ সচল রাখতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। নৌ-পরিবহন খাতে বড় অবদান রাখছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ। একই সাথে নদী তীর রক্ষায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ। অবৈধ নৌযান আটক ও জরিমানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাটি।

নদীমাতৃক কৃষিপ্রধান ও প্রাকৃতিক মৎস্যনির্ভর প্রিয় মাতৃভূমিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আত্মনির্ভরশীল করতে অমূল্য জলসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার অনস্বীকার্য। সে জন্য নদ-নদী সচল রাখা, নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও উন্মুক্ত জলসম্পদ রক্ষা করা আবশ্যক। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনসহ নানা ঝুঁকি মোকাবেলায় শত ব্যস্ততা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নদী খননে মনোযোগী ছিলেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কাজ করছে একটি মহল। যার ফলশ্রুতিতে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে সামাজিক ভাবে তাঁদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র ধারাবাহিক কাজে যারা নিরলস ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্টো তাদেরকেই বিভিন্নভাবে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।জানা যায়, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এবং ভূমি ও আইন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এ কে এম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাত। ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বিআইডব্লিউটিএ-তে কাজ করে যাচ্ছেন ফলে তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে।

এ কে এম আরিফ উদ্দিন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের দায়িত্ব পালনকালে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং এ দুই বন্দরের নদীর তীরভূমি ইজারাসহ বিভিন্ন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিল। মূলত তার ধারাবাহিক অভিযান একটি মহলকে খুশি করতে পারেনি তাই তারা সফল এই কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, সরকারের সেবামূলক কাজে নদী খনন প্রকল্পে ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান অত্যন্ত সততা বিচক্ষণতার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং যাচ্ছেন। এই সৎ, পরিচ্ছন্ন ও নিষ্ঠাবান প্রকৌশলী বিআইডব্লিউটিএতে নিরলস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দিনের পর দিন কাজ করে গেছেন। করোনা কালীন সময়েও তিনি নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন।

ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ, সেই নদীর গতি পথ ঠিক রাখতে ও নদীকে চলাচলের উপযুক্ত করে রাখতে কাজ করছি। সেই কাজটি করতে বাঁধা সৃষ্টি করে কুচক্রী মহল। অনেক সময় ভিত্তিহীন সংবাদই সেবা প্রদানে অন্তরায় হয়ে পরে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভিত্তিহীন সংবাদই বিআইডব্লিউটিএ’র সেবা প্রদানের অন্তরায়

আপডেট : ০৫:২৮:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

দেশের যেসব নৌ রুট বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়ার হুমকিতে সেই রুটগুলো সচল করতে নিরলস ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ১৯৬২-৬৭ সালের দিকে এক জরিপে বাংলাদেশে নৌপথ ছিল ২৪ হাজার কিলোমিটার।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই নদীপথের সংখ্যা কমে আসলেও দেশের বর্তমান নৌপথ সচল রাখতে হিমশিম খেতে হয় সংশ্লিষ্টদের। নৌ-পরিবহন খাতে বড় অবদান রাখছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ। একই সাথে নদী তীর রক্ষায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ। অবৈধ নৌযান আটক ও জরিমানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাটি।

নদীমাতৃক কৃষিপ্রধান ও প্রাকৃতিক মৎস্যনির্ভর প্রিয় মাতৃভূমিকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আত্মনির্ভরশীল করতে অমূল্য জলসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার অনস্বীকার্য। সে জন্য নদ-নদী সচল রাখা, নৌ-পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও উন্মুক্ত জলসম্পদ রক্ষা করা আবশ্যক। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনসহ নানা ঝুঁকি মোকাবেলায় শত ব্যস্ততা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নদী খননে মনোযোগী ছিলেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কাজ করছে একটি মহল। যার ফলশ্রুতিতে বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে গুজব ছড়িয়ে সামাজিক ভাবে তাঁদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

সততা ও নিষ্ঠার সাথে বিআইডব্লিউটিএ’র ধারাবাহিক কাজে যারা নিরলস ভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্টো তাদেরকেই বিভিন্নভাবে সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।জানা যায়, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এবং ভূমি ও আইন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এ কে এম আরিফ উদ্দিন ওরফে আরিফ হাসনাত। ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই বিআইডব্লিউটিএ-তে কাজ করে যাচ্ছেন ফলে তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টায় অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে।

এ কে এম আরিফ উদ্দিন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের দায়িত্ব পালনকালে তুরাগ ও বুড়িগঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং এ দুই বন্দরের নদীর তীরভূমি ইজারাসহ বিভিন্ন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিল। মূলত তার ধারাবাহিক অভিযান একটি মহলকে খুশি করতে পারেনি তাই তারা সফল এই কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, সরকারের সেবামূলক কাজে নদী খনন প্রকল্পে ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান অত্যন্ত সততা বিচক্ষণতার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন এবং যাচ্ছেন। এই সৎ, পরিচ্ছন্ন ও নিষ্ঠাবান প্রকৌশলী বিআইডব্লিউটিএতে নিরলস কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দিনের পর দিন কাজ করে গেছেন। করোনা কালীন সময়েও তিনি নিজের জীবনকে বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন।

ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ছাইদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘নদীমাতৃক আমাদের এই দেশ, সেই নদীর গতি পথ ঠিক রাখতে ও নদীকে চলাচলের উপযুক্ত করে রাখতে কাজ করছি। সেই কাজটি করতে বাঁধা সৃষ্টি করে কুচক্রী মহল। অনেক সময় ভিত্তিহীন সংবাদই সেবা প্রদানে অন্তরায় হয়ে পরে।’