সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আন্তঃনগর ট্রেন ও মেট্রোরেল চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৩:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 114
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ রবিবার রেলপথ পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। বৈঠকে মেট্রোরেল চলাচল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেছেন, আমি যতদূর জানি, রেলওয়ে পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে সচিব মহোদয় বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করবেন এবং সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়ে সরদার শাহাদাত আলী বলেন, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে, আমরা পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

জানা গেছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কিছু কর্মীর ধর্মঘটের কারণে মেট্রো পরিষেবা পুনরায় চালু করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ছয় দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। সেদিন তাদের মানববন্ধনে বলা হয়, বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামোতে প্রত্যেক কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মেট্রোর কর্মীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, যা উন্নীত করে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। তাই দাবি আদায় না হলে তারা কর্মবিরতি পালন করবেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগে করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমটিসিএল’র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী ধর্মঘট করছেন, এ কারণে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এছাড়া পরিষেবাগুলো পুনরায় শুরু করার আগে মেট্রোরেল ব্যবস্থার যথাযথ পর্যবেক্ষণ এবং ট্রায়াল রান প্রয়োজন।

ওই কর্মকর্তা আরও ইঙ্গিত দেন, মেট্রোরেল পুনরায় চালু হলেও মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন দুটি সহসা চালু নাও হতে পারে। সূত্রের তথ্যমতে, এই দুটি স্টেশন ছাড়া মেট্রোরেলের বগি, ট্র্যাক বা সিগন্যালিং সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই এই স্টেশন দুইটি বাদ রেখেই ফের চালু হতে পারে মেট্রো সার্ভিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আন্তঃনগর ট্রেন ও মেট্রোরেল চলাচল

আপডেট : ০৩:৩৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ রবিবার রেলপথ পরিষেবা পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। বৈঠকে মেট্রোরেল চলাচল নিয়েও আলোচনা হতে পারে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেছেন, আমি যতদূর জানি, রেলওয়ে পরিষেবা পুনরায় চালুর বিষয়ে সচিব মহোদয় বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করবেন এবং সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

রেল পরিষেবা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়ে সরদার শাহাদাত আলী বলেন, কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে, আমরা পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

জানা গেছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কিছু কর্মীর ধর্মঘটের কারণে মেট্রো পরিষেবা পুনরায় চালু করতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ছয় দফা দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন। সেদিন তাদের মানববন্ধনে বলা হয়, বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামোতে প্রত্যেক কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মেট্রোর কর্মীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, যা উন্নীত করে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। তাই দাবি আদায় না হলে তারা কর্মবিরতি পালন করবেন।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের সঙ্গে যোগাযোগে করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমটিসিএল’র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মী ধর্মঘট করছেন, এ কারণে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। এছাড়া পরিষেবাগুলো পুনরায় শুরু করার আগে মেট্রোরেল ব্যবস্থার যথাযথ পর্যবেক্ষণ এবং ট্রায়াল রান প্রয়োজন।

ওই কর্মকর্তা আরও ইঙ্গিত দেন, মেট্রোরেল পুনরায় চালু হলেও মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন দুটি সহসা চালু নাও হতে পারে। সূত্রের তথ্যমতে, এই দুটি স্টেশন ছাড়া মেট্রোরেলের বগি, ট্র্যাক বা সিগন্যালিং সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হয়নি। তাই এই স্টেশন দুইটি বাদ রেখেই ফের চালু হতে পারে মেট্রো সার্ভিস।