সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
  • আপডেট : ০৬:৩১:৫২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • / 25

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। এতে পুরুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছরের সুপারিশ করা হয়েছে।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেশী একটি দেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, নারীদের প্রবেশের বয়সসীমা ৩৭ বছর পর্যন্ত সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পায়।

আব্দুল মুয়ীদ বলেন, মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেয়া হয়েছে। মেয়েদের আমরা এই কারণে দিয়েছি যে, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও।

তিনি আরো বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি জানান, কোনো গ্রেডের জন্য আলাদাভাবে বলা হয়নি, সার্বিকভাবে সব সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা হয়েছে। অবসরের বিষয়ে কোনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের মতোই আছে। এখন যারা চাকরিতে ঢুকবেন তাদের অবসর নিতে অনেক সময় লাগবে। এ বিষয়ে পরে সরকার চিন্তা করবে। যারা এখন চাকরিতে আছে তারাই আগামী ৭-৮ বছরে অবসরে যাবেন। তারা আগের নিয়মেই অবসরে যাবেন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহ পর সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব কাওসার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম।

প্রশাসন সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক প্রসঙ্গে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক ছিল। পরিচিতি পর্ব হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। দুই মাস পর একটা কাঠামোতে আসবে বলে মনে করি। তারপর একটা রূপ দেখতে পারি। তবে সংস্কারের ক্ষেত্রে এখনো অগ্রাধিকার ঠিক করা হয়নি, আলোচনা চলছে। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের

আপডেট : ০৬:৩১:৫২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। এতে পুরুষদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর এবং নারীদের জন্য ৩৭ বছরের সুপারিশ করা হয়েছে।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেশী একটি দেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, নারীদের প্রবেশের বয়সসীমা ৩৭ বছর পর্যন্ত সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পায়।

আব্দুল মুয়ীদ বলেন, মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেয়া হয়েছে। মেয়েদের আমরা এই কারণে দিয়েছি যে, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয় না।

তিনি বলেন, ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও।

তিনি আরো বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের পরবর্তী সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হবে এবং সরকার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি জানান, কোনো গ্রেডের জন্য আলাদাভাবে বলা হয়নি, সার্বিকভাবে সব সরকারি চাকরির বিষয়ে বলা হয়েছে। অবসরের বিষয়ে কোনো কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের মতোই আছে। এখন যারা চাকরিতে ঢুকবেন তাদের অবসর নিতে অনেক সময় লাগবে। এ বিষয়ে পরে সরকার চিন্তা করবে। যারা এখন চাকরিতে আছে তারাই আগামী ৭-৮ বছরে অবসরে যাবেন। তারা আগের নিয়মেই অবসরে যাবেন।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীকে প্রধান করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করা হয়। এক সপ্তাহ পর সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান, সাবেক যুগ্ম সচিব কাওসার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও সাইফুল ইসলাম।

প্রশাসন সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক প্রসঙ্গে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে প্রথম বৈঠক ছিল। পরিচিতি পর্ব হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। দুই মাস পর একটা কাঠামোতে আসবে বলে মনে করি। তারপর একটা রূপ দেখতে পারি। তবে সংস্কারের ক্ষেত্রে এখনো অগ্রাধিকার ঠিক করা হয়নি, আলোচনা চলছে। অবশ্যই চেষ্টা থাকবে তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার।