ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মার্কেট-ফুটপাতে গিজগিজ করছে মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১০ মে ২০২১
  • / 165
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

ঈদে জমে উঠেছে রাজধানীর শপিংমলগুলো। কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও বিধিনিষেধ। আর মানুষের উপস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।

মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই মূলত রাজধানীর শপিংমল ও ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রাজধানীর ফার্মগেট ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে সপরিবারে ভিড় করছেন কেউ কেউ। থাকছেন বহুক্ষণ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাথ। সেখানেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানে যে যেভাবে পারছেন কিনছেন সাধ্যমতো। এতে একজন অন্যের সঙ্গে শরীর ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন। আর শপিংমলগুলোতে যেন কেনাকাটার হিড়িক চলছে। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে মার্কেট করছেন তারা। প্রতিটি দোকানে রয়েছে ভিড়।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছে, লকডাউনের মধ্যে যেভাবে মার্কেট, বিপণিবিতানে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে এবং যে হারে ঢাকা ছেড়ে ঘরমুখী হচ্ছে মানুষ তাতে ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে ঢাকাসহ সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ মার্কেট কিংবা সড়কপথের কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে আরেকটি করোনার ঢেউ দেখা দিতে পারে।

ফার্মগেটের একটি শপিংমলের বাইরে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে জীবাণুনাশক টার্নেলের মধ্য দিয়ে শপিংমলের ভেতরে ঢুকছেন। তবে বাইরে লাইন মেনে চললেও ভেতরের চিত্র ছিলো ঠিক তার উল্টো। প্রতিটি লেভেলে রয়েছে ক্রেতার সমাগম। এস্কেলেটরগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এস্কেলেটরে উঠতে নামতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

কেনাকাটা করতে আসছেন মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, মার্কেটে এসে বোঝার উপায় নেই যে দেশে করোনা নামে কিছু আছে। মাস্ক পরে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সবাই গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করছেন। কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারলেই খুশি।

বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স

একই চিত্র রাজধানীর নিউ মার্কেটে দেখা গেছে। নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাথে বেড়েছে বিক্রি। অনেকাংশে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার হাঁটার মতো পরিস্থিতিও নেই। প্রতিটি দোকানে ক্রেতা সমাগম। স্বাস্থ্যবিধি নড়বড়ে। মাস্ক ছাড়াও কেনাকাটা করছেন তারা। ঘুরছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।

ঈদে কেনাকাটা করতে আসছেন রফিক মিয়া। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাবে কে? এটা কার দায়িত্ব? কারণ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মার্কেট-ফুটপাতে গিজগিজ করছে মানুষ

আপডেট : ০৩:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১০ মে ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

ঈদে জমে উঠেছে রাজধানীর শপিংমলগুলো। কেনাকাটার জন্য মার্কেটগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব ও বিধিনিষেধ। আর মানুষের উপস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।

মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে করোনা সংক্রমণ রোধে ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ২৫ এপ্রিল থেকে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেয়া হয়। এরপর থেকেই মূলত রাজধানীর শপিংমল ও ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

রাজধানীর ফার্মগেট ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের কেনাকাটা করতে মার্কেটগুলোতে সপরিবারে ভিড় করছেন কেউ কেউ। থাকছেন বহুক্ষণ। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাথ। সেখানেও নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। রাস্তার পাশে অস্থায়ী দোকানে যে যেভাবে পারছেন কিনছেন সাধ্যমতো। এতে একজন অন্যের সঙ্গে শরীর ঘেঁষে কেনাকাটা করছেন। আর শপিংমলগুলোতে যেন কেনাকাটার হিড়িক চলছে। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে মার্কেট করছেন তারা। প্রতিটি দোকানে রয়েছে ভিড়।

জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছে, লকডাউনের মধ্যে যেভাবে মার্কেট, বিপণিবিতানে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে এবং যে হারে ঢাকা ছেড়ে ঘরমুখী হচ্ছে মানুষ তাতে ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে ঢাকাসহ সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ মার্কেট কিংবা সড়কপথের কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে আরেকটি করোনার ঢেউ দেখা দিতে পারে।

ফার্মগেটের একটি শপিংমলের বাইরে দেখা গেছে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে জীবাণুনাশক টার্নেলের মধ্য দিয়ে শপিংমলের ভেতরে ঢুকছেন। তবে বাইরে লাইন মেনে চললেও ভেতরের চিত্র ছিলো ঠিক তার উল্টো। প্রতিটি লেভেলে রয়েছে ক্রেতার সমাগম। এস্কেলেটরগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এস্কেলেটরে উঠতে নামতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

কেনাকাটা করতে আসছেন মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, মার্কেটে এসে বোঝার উপায় নেই যে দেশে করোনা নামে কিছু আছে। মাস্ক পরে থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। সবাই গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করছেন। কেউ কাউকে বাধা দিচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারলেই খুশি।

বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স

একই চিত্র রাজধানীর নিউ মার্কেটে দেখা গেছে। নিউ মার্কেট এলাকার ফুটপাথে বেড়েছে বিক্রি। অনেকাংশে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ার হাঁটার মতো পরিস্থিতিও নেই। প্রতিটি দোকানে ক্রেতা সমাগম। স্বাস্থ্যবিধি নড়বড়ে। মাস্ক ছাড়াও কেনাকাটা করছেন তারা। ঘুরছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে।

ঈদে কেনাকাটা করতে আসছেন রফিক মিয়া। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাবে কে? এটা কার দায়িত্ব? কারণ কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।