ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ : বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • / 298

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রপ্তানি মুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে “বর্ষ পণ্য-২০২০” বা ইয়ার অফ দি প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ শিল্প রপ্তানি মুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাষ্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ^ব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ সেক্টরের উদ্যোক্তাদের মরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যেতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন হরা হচ্ছে। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২০ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে “লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন” শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরীর মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখী করণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে।

এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণারলয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. হাফিজুর রহমান। কর্মশালায় বিষয়ের উপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন এর টেকনিকেল এডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এর কো-অডিনেটর মো. আব্দুল রহিম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক।

এ কর্মশালায় শিল্প মালিক ও প্রতিনিধি গণের পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট : ০১:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি,এমপি বলেছেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রপ্তানি মুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে “বর্ষ পণ্য-২০২০” বা ইয়ার অফ দি প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন।

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরিন চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ শিল্প রপ্তানি মুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাষ্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ^ব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এ সেক্টরের উদ্যোক্তাদের মরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যেতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন হরা হচ্ছে। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২০ জুন) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে “লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন” শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরীর মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখী করণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে।

এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণারলয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. হাফিজুর রহমান। কর্মশালায় বিষয়ের উপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন এর টেকনিকেল এডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এর কো-অডিনেটর মো. আব্দুল রহিম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক।

এ কর্মশালায় শিল্প মালিক ও প্রতিনিধি গণের পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।