ঢাকা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় কমছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • / 423

সংগৃহীত ছবি।

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রিকভারি গাইডলাইন তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গাইডলাইনে শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো এবং ছুটি বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরো সিলেবাসে পাঠদান সম্পন্ন করাসহ ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে গাইডলাইনে।

মঙ্গলবার সকলে ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত গাইডলাইনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।

তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে অনলাইনে পাঠদান চালু থাকলেও ইন্টারনেট ও ডিভাইস সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই এর বাইরে থেকে গেছেন। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই সে পথে যায়নি।

দুটি সেমিস্টার পিছিয়ে পড়ায় ভবিষ্যতের শঙ্কায় শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।

গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুক্ত ছিলেন।

তার তিন সপ্তাহ পর প্রকাশিত ওই গাইডলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় ‘উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে’ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ব্যবহারিকসহ সকল বিষয়ের ক্লাস, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ছুটি কমানো বা বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, মিডটার্ম পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপারের মত মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবে।

তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের সময় আগের মতই থাকবে। লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠ শেষ করতে হবে।

চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি, দুই পরীক্ষার মাঝের ছুটি এবং দুটি বর্ষ বা সেমিস্টারের মাঝের ছুটি কমাতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার জানিয়ে ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে বলেছে ইউজিসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবর্ষের সময় কমছে

আপডেট : ০৩:১২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রিকভারি গাইডলাইন তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গাইডলাইনে শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো এবং ছুটি বাতিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুরো সিলেবাসে পাঠদান সম্পন্ন করাসহ ছয়টি সুপারিশ করা হয়েছে গাইডলাইনে।

মঙ্গলবার সকলে ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের স্বাক্ষরিত গাইডলাইনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।

তবে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে অনলাইনে পাঠদান চালু থাকলেও ইন্টারনেট ও ডিভাইস সমস্যার কারণে অনেক শিক্ষার্থীই এর বাইরে থেকে গেছেন। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমোদন থাকলেও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই সে পথে যায়নি।

দুটি সেমিস্টার পিছিয়ে পড়ায় ভবিষ্যতের শঙ্কায় শিক্ষার্থীদের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।

গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারি গাইডলাইন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুক্ত ছিলেন।

তার তিন সপ্তাহ পর প্রকাশিত ওই গাইডলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় ‘উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্যভাবে’ কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে।

এছাড়া ব্যবহারিকসহ সকল বিষয়ের ক্লাস, ক্লাস টেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ছুটি কমানো বা বাতিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট, কুইজ, মিডটার্ম পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপারের মত মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে পারবে।

তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ক্লাসের সময় আগের মতই থাকবে। লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠ শেষ করতে হবে।

চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি, দুই পরীক্ষার মাঝের ছুটি এবং দুটি বর্ষ বা সেমিস্টারের মাঝের ছুটি কমাতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন করে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার জানিয়ে ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করতে বলেছে ইউজিসি।